জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: মতুয়া মহা ধর্ম মেলা চলাকালীন প্রয়াত বড়মা বীণাপাণিদেবী (Binapani Devi) ঘর দখল ঘিরে উত্তপ্ত ঠাকুরবাড়ি। সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতাবালা ঠাকুর। গাইঘাটা থানায় শান্তনু ঠাকুর-সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন তিনি। এদিকে শান্তনু সাফ জানালেন, তিনি ঠাকুমার ঘরে ঢুকেছেন। এখানে কোনও দখলের অভিযোগ হতেই পারে না।
তৃণমূলের X হ্যান্ডেলে পোস্ট করা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, একটি হাতুড়ি দিয়ে কোলাপসিবল গেট ভাঙার চেষ্টা করছেন শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়া আরও অনেকেই তাঁকে দরজাটি ভাঙতে সাহায্য করছে। তৃণমূলের অভিযোগ, মমতাবালা ঠাকুরের বাড়িতে চড়াও হওয়া সকলের হাতেই রয়েছে ধারালো অস্ত্র। অভিযোগ, বড়মা বীণাপানি দেবীর ঘর দখল করতেই হামলা শান্তনুর। দরজা ভেঙে ঘর দখল করে ভিতরে বসেও পড়েন শান্তনু ঠাকুর, তাঁর ভাই-সহ পরিবারের লোকজনেরা। এদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে পুরনো ইতিহাস তুলে ধরেন মমতাবালা ঠাকুর। বলেন, "বড়মা বেঁচে থাকা অবস্থায় কেন ওরা ঘরে দখল নিতে আসেনি। কেনই বা শান্তনু ঠাকুরদের জন্ম এই বাড়িতে হয়নি? কারণ আমার শ্বশুরমশাই প্রমথরঞ্জন ঠাকুর ওদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছিল।" মমতাবালার দাবি, বিয়ের পর থেকেই তিনি বড়মার বাড়ির একটি ঘরে থাকতেন। আরেকটি ঘরে বড়মা থাকতেন।
[আরও পড়ুন: ‘নিজের স্বার্থে ইতিহাস বিকৃত করবেন না’, কঙ্গনার ‘প্রধানমন্ত্রী’ মন্তব্যে তোপ নেতাজির প্রপৌত্রের]
যদিও এসবকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শান্তনু ঠাকুর। তাঁর কথায়, "আমার ঠাকুমা-ঠাকুরদাদার ঘর। অনেকবার ঢুকতে চেয়েছি। ওরা দখল করে রেখেছিল। এবার হাতুড়ি দিয়ে ভেঙে হোক বা যেভাবেই হোক আমি ঢুকেছি। আমার ঠাকুরদার ঘর। এখানে কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম থাকবে? আমি কেন এসেছি, কাউকে কোনও কৈফিয়ত দেবো না। এই বাড়িতে আমাদের অধিকার আছে সেই অধিকার আমরা বুঝে নিয়েছি।"