দেব গোস্বামী, বোলপুর: পূর্বপল্লির মাঠেই আজ থেকেই শুরু হচ্ছে শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা। তিন বছর পর বীরভূম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই মেলার আয়োজন। অন্যদিকে বিশ্বভারতীতে ভোর থেকেই গৌরপ্রাঙ্গণের বৈতালিক, ছাতিমতলায় উপাসনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে পৌষ উৎসব পালন। সকাল ১১ টায় বিনোদন মঞ্চে ভারচুয়ালি পৌষমেলার উদ্বোধন করবেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
পর পর তিন বছর মেলা বন্ধ করে রেখেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় ক্ষুদ্রশিল্পী থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। বিশ্বভারতীর ইতিহাসে এই প্রথম এ বছর রাজ্য সরকার তথা বীরভূম জেলা প্রশাসন পূর্বপল্লির মাঠেই শান্তিনিকেতন পৌষমেলা পরিচালনা করছে। রবীন্দ্র স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহ্যবাহী মেলা এতদিন পরিচালনা করে এসেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী। এ বিষয়ে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, “ইতিমধ্যেই যাবতীয় আয়োজন সারা হয়েছে। মেলায় বসে গিয়েছে দোকানও। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলায় যাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা না হয় সেই জন্য প্রশাসনের তরফে যাবতীয় নজরদারি চালানো হচ্ছে। গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে পুলিশের তরফ থেকেও বিভিন্ন জোনে পার্কিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন:‘ডিসেম্বরেও গরমের জন্য তৃণমূল দায়ী’, শুভেন্দুর আজব দাবিতে কুণালের খোঁচা ‘বদ্ধ পাগল’]
পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “লক্ষাধিক মানুষের কথা চিন্তা করেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ছাড়াও মেলার বিভিন্ন প্রান্তে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাও। সিভিক ভলান্টিয়ার, পুরুষ ও অধিক সংখ্যক মহিলা পুলিশ কর্মী এবং পর্যাপ্ত সংখ্যায় অফিসার-সহ প্রায় দু’হাজার জন ২৪ ঘণ্টার জন্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। বিশ্বভারতীর নিরাপত্তারক্ষী, এনসিসি টিম-সহ কর্মীদের একাংশ নিরাপত্তা দেবে পুলিশের সঙ্গেই। “পৌষমেলার ঐতিহ্য অনুযায়ী কুটির শিল্প তথা হস্তশিল্পদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য বিনা পয়সায় স্টলের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসনও। আর এমন উদ্যোগে খুশি বিশ্বভারতীর পড়ুয়া, প্রাক্তনী ও আশ্রমিকরা। খুশি হস্তশিল্পী, ব্যবসায়ীও।