সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রুপোলি পর্দায় ঝড় তোলা ‘জস’ ছবিটির কথা মনে আছে? একাধিক পর্ব রয়েছে এই ছবির। যার সবগুলিরই বিষয়বস্তু অতিকায় হাঙরের দাপট। এবার সত্য়িই তেমন এক হাঙরের দেখা মিলল মিশরে (Egypt)। সেদেশে ছুটি কাটাতে এসে হাঙরের (Shark) পেটে গেলেন এক রুশ পর্যটক। ২৩ বছরের ওই পর্যটকের নাম ভ্লাদিমির পপভ। হাঙরটি তাঁকে খেয়ে ফেলার পরই স্থানীয়দের আক্রমণে মারা যায় প্রাণীটি। এরপর তার পেট থেকে উদ্ধার করা হয় ভ্লাদিমিরের দেহাবশেষ।
ঠিক কী হয়েছিল? প্রেমিকার সঙ্গে মিশরে বেড়াতে এসে তাঁকে নিয়ে লোহিতসাগরে সাঁতার কাটতে নামেন ওই যুবক। বুঝতেও পারেননি অতর্কিতে কীভাবে সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখোমুখি হতে চলেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে হাঙরটি তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিপদের আগাম আঁচ পেয়ে প্রবল চিৎকার করতে থাকেন তিনি। চেঁচাতে থাকেন তাঁর প্রেমিকাও। তাঁকে গিলে ফেলে সমুদ্রের গভীরে চলে যেতে থাকে হাঙরটি। পাড় থেকে ওই দৃশ্য দেখে আতঙ্কে ভুগতে থাকেন তাঁর বাবাও। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে হাঙরের সামনে পড়ে চিৎকার করতে থাকেন, ”বাবা, আমাকে বাঁচাও।”
[আরও পড়ুন: বার্সেলোনার ফেসবুক পোস্টে ইস্টবেঙ্গল, সেরাদের সঙ্গে একই আসনে লাল-হলুদ]
পরে হাঙরটির উপরে চড়াও হন স্থানীয়রা। তাঁরা পিটিয়ে মেরে ফেলেন ঘাতক হাঙরটিকে। একজনকে দেখা যায়, সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সেলফিও তুলে রাখতে। হাঙরটির পেট থেকে উদ্ধার হয়েছে রুশ পর্যটকের মাথা ও হাতের অংশ। জানা যাচ্ছে, ‘ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড দ্য রেড সি রিজার্ভসে’র জাদুঘরে ঠাঁই হয়েছে মৃত হাঙরটির। তাকে সাধারণ দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত করা হচ্ছে।