সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাত নামলেই ঘিরে ধরছে আতঙ্ক। এবার কার বাড়িতে হানা দেবে নরখাদক? পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে বাড়ির বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সব মিলিয়ে কার্যত থমকে গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচের জনজীবন। মানুষখেকো নেকড়ে ধরতে ২৫টি দল গঠন করার পাশাপাশি নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার।
গত প্রায় দু মাস ধরে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ ও সিতাপুর জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নরখাদক নেকড়ের দল। তাদের হামলায় ইতিমধ্যেই ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে যার ৮জন শিশু। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। এই পরিস্থিতিতে খাঁচা পেতে ৪টি নেকড়েকে ধরা হলেও, ২টি এখনও অধরা। তাদের দৌরাত্ম্যেই অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। বৃহস্পতিবার রাতেও এক বাড়িতে হামলা চালায় নেকড়ে। ঘরের ভিতর ঢুকে ১২ বছরের এক ঘুমন্ত বালককে ঘাড় কামড়ে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকারে পরিবারের অন্য সদস্যেরা জেগে উঠলে শিকার ছেড়ে পালায় সে।
[আরও পড়ুন: মণিপুরে সেনা মিউজিয়ামের কাছেই আছড়ে পড়ল রকেট, ব্যাপক চাঞ্চল্য]
এই অবস্থায় নেকড়ের হামলা থেকে বাঁচতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল কলেজ। চাষিরা মাঠে যেতে ভয় পাচ্ছেন। দোকানপাঠ সব বন্ধ। বহরাইচের প্রায় ৩৫টি গ্রাম আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে নেকড়ে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিযুক্ত করা হয়েছে ১৮ জন শার্পশুটার। গ্রামবাসীদের নিরাপত্তায় এলাকায় ২০০ পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নেকড়ে ধরতে বন দপ্তরের তরফে ২৫টি দল গঠন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্কুলে এবার গীতা ও রামচরিতমানস পাঠ! আধ্যাত্মিক শিক্ষার পক্ষে সওয়াল যোগীর]
পাশাপাশি নরখাদকের হামলায় একের পর এক মৃত্যুর জেরে ৩৫টি এলাকায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং রাজস্ব বিভাগকে। সাধারণ মানুষকে আবেদন জানানো হয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতার। সাধারণ মানুষও রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।