সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা থেকে অব্যাহতি চাইলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর (Shashi Throor)। তাঁর আইনজীবী আদালতে আবেদন জানিয়ে বলেছেন, থারুরের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধ প্রমাণ করা যায়নি সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায়। তাই তাঁর মক্কেলকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ভারত সফর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের]
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ আইপিসি ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। শশী থারুরের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া এবং ৪৯৮এ ধারায় বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনে পুলিশ। বেশ কয়েকবার পুলিশি তদন্তের মুখোমুখি হতে হয় ত্রিশূরের কংগ্রেস সাংসদকে। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগই প্রমাণ করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর আইনজীবী বিকাশ পাহয়া একটি আবেদন করেন বিশেষ বিচারপতি গীতাঞ্জলি গোয়েলের কাছে। আবেদনে তিনি বলেছেন, বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ড, ফরেনসিক এবং অটোপসি রিপোর্ট হত্যা বা আত্মহত্যার সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছে।
রিপোর্টগুলিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যুর কথাও। আত্মহত্যার তত্ত্ব খারিজ হওয়ার পর তাতে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ খাটে না। তাই তদন্তকারী অফিসারের উচিত, শশী থারুরকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দেওয়া। সুনন্দা পুষ্কর নির্যাতিত হতেন- কেউ কখনও এমন অভিযোগ করেননি বা বয়ান দেননি। তাই পুলিশের দেওয়া কোনও ধারাই প্রযোজ্য নয় শশী থারুরের জন্য। তাই আমার মক্কেলকে সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
[আরও পড়ুন: নির্যাতিতাকে রাখি পরালেই মিলবে জামিন, মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টের রায় বাতিল সুপ্রিম কোর্টে]
উল্লেখ্য, ২০১৪-র ১৬ জানুয়ারি পাক সাংবাদিক মেহর তাররের সঙ্গে টুইটারে বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পরের দিন, ১৭ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে সুনন্দার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মেহরের সঙ্গে শশী থারুরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে অনুমান করেছিলেন সুনন্দা। প্রাথমিক অটপ্সি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধের প্রভাবেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু সুনন্দা আত্মহত্যা করেছিলেন নাকি তাঁকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছুই জানা যায়নি আজ পর্যন্ত।