সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপিতে সবচেয়ে বড় মোদি-বিরোধী মুখগুলির মধ্যে অন্যতম শত্রুঘ্ন সিনহা। গত প্রায় ১ বছর ধরেই মোদির বিরুদ্ধে সরাসরি গলা চড়িয়ে যাচ্ছেন ‘শটগান’। এবার বিরোধীরা তাই মোদির বিরুদ্ধে শত্রুঘ্নকেই প্রার্থী করতে চাইছে। শোনা যাচ্ছে ২০১৯-এ বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে বিহারীবাবুকে টিকিট দিতে চাইছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি।
[সত্য বলুন দৃপ্তস্বরে, #MeToo বিতর্কে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী]
আসলে গঙ্গা আন্দোলন নিয়ে এমনিতেই বারাণসী কেন্দ্রে মোদি বিরোধী হাওয়া তৈরি হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। সম্প্রতি গুজরাটে উত্তরপ্রদেশের শ্রমিকদের উপর অত্যাচারের ঘটনায় মোদি বিরোধী হাওয়া আরও তীব্র হয়েছে। এমনকি বারাণসীর বিভিন্ন প্রান্তে ‘গুজরাটি মোদি দূর হটো’ শীর্ষক পোস্টারও পড়েছে। সব মিলিয়ে এবারে প্রধানমন্ত্রীকে নিজের কেন্দ্রেই হারানোর ব্যপারে আশাবাদী। আর সেজন্য বিরোধী শিবিরের প্রয়োজন শক্তসামর্থ্য প্রার্থী। শত্রুঘ্ন সিনহাকেই উপযুক্ত প্রার্থী বলে মনে করছে সমাজবাদী পার্টি। কারণ হিসেবে উঠে আসছে বারাণসীতে শত্রুঘ্নের জনপ্রিয়তা। এমনিতে বারাণসীতে কায়স্থ সম্প্রদায়ের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় বিহারীবাবু। তাছাড়া বারাণসীর মানুষ স্পষ্টবক্তাদের পছন্দ করেন। তাছাড়া গুজরাট বিরোধী আবেগকে কাজে লাগাতে কোনও হিন্দিভাষী আইকনকেই দাঁড় করাতে চাইছে অখিলেশ যাদবের দল।
[আম্বানির সঙ্গে চুক্তিতে বাধ্য হয়েছিল দাসাল্ট, রাফালে ইস্যুতে চাঞ্চল্যকর মোড়]
ইতিমধ্যেই দলীয় স্তরে শত্রুঘ্নকে প্রার্থী করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দলের বর্ষীয়ান নেতারা অখিলেশ যাদবকে প্রস্তাবও দিয়েছেন। অখিলেশ প্রস্তাবে সায় দিলেই শত্রুঘ্নকে অনুরোধ করা হবে।ইতিমধ্যেই কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির কাছেও অনুরোধ করা হয়েছে বারাণসীতে সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন করার।গতবছর মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন খোদ কেজরিওয়াল, তাই বারাণসীতে আপের সংগঠন বেশ শক্তিশালী। যদিও, এবার শত্রুঘ্নের প্রার্থী হওয়া নিয়ে অনেক জটিলতা আছে। কারণ, এখনও খাতায় কলমে বিজেপির সদস্য শত্রুঘ্ন। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপি ছাড়লে যোগ দেবেন কোনও জাতীয় দলে। সেক্ষেত্রে তাঁর কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া নিজের সেফ সিট ছেড়ে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি লড়তে রাজি হবেন কিনা সেটা নিয়েও রয়েছে দ্বন্দ্ব। যদিও, একসঙ্গে দুই আসনে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে পুরোদস্তুর।