shono
Advertisement

Breaking News

‘বিহারীবাবু’তেই আস্থা, আসানসোলে ফের লড়াইয়ে শত্রুঘ্ন! ইঙ্গিত মমতার

শুক্রবার ধরনামঞ্চেই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের জন্য কোর কমিটি গড়লেন নেত্রী।
Posted: 08:11 PM Feb 02, 2024Updated: 08:15 PM Feb 02, 2024

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০১৯ সালে চমক দিয়েই বলিউডের ‘খামোশ’ শত্রুঘ্ন সিনহাকে বাংলার ভোটে প্রার্থী করেছিলেন তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই প্রার্থী নির্বাচন যে সঠিক ছিল, আসানসোল (Asansol) থেকে বিপুল ভোটে জিতে তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি অধ্যুষিত অবাঙালি এলাকায় গেরুয়া ঝড় রুখতে ফের ‘বিহারীবাবু’তেই আস্থা রাখতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রেড রোডের ধরনামঞ্চেই পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করে সেই ইঙ্গিত দিলেন তিনি।

Advertisement

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে ৪৮ ঘণ্টার ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু সেখানেও কাজ থেমে নেই। ওই মঞ্চে বসেই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক করেছেন তিনি। এদিন ছিল পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগে দুই জেলার সাংগঠনিক কাজকর্মের জন্য তিনি একটি কোর কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। মূল দায়িত্বে অরূপ বিশ্বাস। কমিটিতে থাকবেন প্রদীপ মজুমদার, স্বপন দেবনাথ, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।

[আরও পড়ুন: এক মাসে চতুর্থ ঘটনা! আমেরিকায় ফের মৃত্যু ভারতীয় পড়ুয়ার]

এতদিন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট-সহ বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখতেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। তাঁর জোরেই ভোটে দারুণ ফলাফল হতো ঘাসফুল শিবিরের। কিন্তু এই মুহূর্তে অনুব্রত তিহার জেলে বন্দি। তাই তাঁর এলাকাগুলিতে কোর কমিটিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে বীরভূম জেলার সঙ্গে বৈঠকেও অনুব্রত মণ্ডলের বদলে কোনও নেতা নয়, ৫ সদস্যকে নিয়ে কোর কমিটি তৈরি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দুই বর্ধমানের জন্যও তাই করলেন।

[আরও পড়ুন: মালদ্বীপকে সাহায্য করবে দেউলিয়া পাকিস্তান! এ কী বলছে ইসলামাবাদ?]

আর এই বৈঠকেই শত্রুঘ্ন সিনহাকে (Shatrughan Sinha) ফের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৯ সালে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভোটে জিতেছিলেন বিহারীবাবু। তার আগে দুবার এই কেন্দ্র ছিল বিজেপির দখলে। তারকা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) পর পর দুবার এখান থেকে জিতেছিলেন। উনিশে তাঁর হাত থেকে কেন্দ্রটি পুনরুদ্ধার করেন শত্রুঘ্ন। তাই এবারও ‘খামোশ’-এই ভরসা রাখছেন নেত্রী। পাশাপাশি তিনি ফের কংগ্রেসের সঙ্গত্যাগ করে একলা চলার কথা বলেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement