সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা! সিনহা পরিবারে নয়নমণি সোনাক্ষী। মা-বাবা তাঁকে চোখে হারান। অতঃপর মেয়ের বিয়ের দিন বাবা হিসেবে যে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন শত্রুঘ্ন সিনহা, তা বলাই বাহুল্য। কন্যার জীবনের নতুন ইনিংস নিয়ে যেমন তিনি উচ্ছ্বসিত, তেমনই কান্না চাপা বুকে কষ্ট। হাজার হলেও বাবার মন।
রবিবার নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট ‘অওরিয়েত’-এই ঘনিষ্ঠদের সাক্ষী রেখে কাগুজে বিয়ে সারেন সোনাক্ষী সিনহা এবং জাহির ইকবাল। পরনে নবদম্পতির দুধ সাদা পোশাক। মেয়ের পাশেই হাসিমুখে দাঁড়িয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই অনুষ্ঠানে প্রবীন অভিনেতা জানালেন, "সব বাবারই এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। তাঁর সেই মেয়েটাকে পছন্দের পাত্রের হাতে তুলে দেবেন বলে। জাহিরের সঙ্গে আমার মেয়েকে সবথেকে বেশি খুশি থাকতে দেখেছি। ওরা সুখে থাকুক, এই প্রার্থনাই করব।" সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোনা গিয়েছিল শত্রুঘ্ন নাকি এই বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ কিছুই জানেন না! তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই প্রজন্মের সন্তান কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে না। ওরা শুধু নিজেদের সিদ্ধান্ত জানায়। সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত যে, জামাই হিসেবে জাহির ইকবালকে হয়তো পছন্দ নয় শত্রুঘ্ন সিনহার! তবে বিয়ের দু দিন আগেই নিন্দুকদের 'খামোশ' করে দিয়েছেন জাহির ইকবালকে বুকে টেনে নিয়ে।
জামাইকে 'গুড বয়' সার্টিফিকেট দিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ শ্বশুর শত্রুঘ্ন সিনহা। বললেন, "জাহির খুব ভালো ছেলে। আমার মেয়েকে ভালো রাখবে ও..."। প্রবীণ অভিনেতার সংযোজন, "৪৪ বছর আগে আমি একজন সফল, সুন্দরী, ভীষণ ট্যালেন্টেড একটি মেয়েকে নিজের পছন্দে বিয়ে করেছিলাম। তিনি পুনম সিনহা। আজ আমার মেয়ে সোনাক্ষীর পালা। ওঁর পছন্দই আমাদের পছন্দ। ওঁর নিজের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে আমি পূর্ণ সমর্থন করি।"
[আরও পড়ুন: প্রথম দেখার জন্মদিনেই জাহিরের সঙ্গে আইনি বিয়ে সারলেন সোনাক্ষী, মিষ্টি বিলি নবদম্পতির]
এই দিনটিও সোনাক্ষী-জাহিরের জন্য বিশেষ। প্রথম দেখার জন্মদিনটিকেই বিয়ের তারিখ করে নিলেন তারকাজুটি। ইন্ডাস্ট্রি থেকে উপস্থিত ছিলেন সোনাক্ষীর বন্ধু অদিতি রাও হায়দরি, সিদ্ধার্থ, হুমা কুরেশিরা। বিয়ের পর সাংবাদিক বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়ে মিষ্টি বিলিও করেছেন নবদম্পতি। রেজিস্ট্রি বিয়ের ছবি শেয়ার করে কনে সোনাক্ষী লিখলেন- ” ২০১৭ সালের জুন মাসের ঠিক ২৩ তারিখেই আমরা একে-অপরের চোখে ভালোবাসা দেখে আগলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সেই ভালোবাসাই আজ আমাদের এখানে নিয়ে এল। যেখানে ঈশ্বর আর দুই পরিবারের আশীর্বাদ সাক্ষী রইল যে মুহুর্তের। আমরা এখন নবদম্পতি। এখন থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত আমি তোমারই।” বিয়ে সম্পন্ন। এবার হাইপ্রোফাইল রেস্তরাঁ বাতিস্তায় রাতপার্টির আসরের অপেক্ষা।