সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে তরুণীর ছেঁচড়ে মৃত্যুর ঘটনায় একের পর এক চমকে দেওয়ার মতো কথ্য প্রকাশ্যে আসছে। সম্প্রতি পুলিশ জানতে পারে, সুলতানপুরের ঘটনার সময় ওই তরুণী অর্থাৎ অঞ্জলি সিং একা ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী নিধি। এবার সেই বান্ধবী দাবি করলেন, মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন অঞ্জলি। সেই অবস্থাতেই স্কুটি চালাবেন বলে তাঁর সঙ্গে বচসাও জুড়ে দেন।
পুলিশের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে নিধির সঙ্গে অঞ্জলির বচসার দৃশ্য ধরা পড়েছে। ঘটনার পরই সেখান থেকে চম্পট দিয়েছিলেন নিধি। পরবর্তীতে তাঁকে খুঁজে বের করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পুলিশকে তিনি জানিয়েছিলেন, আতঙ্কে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেই নিধিই এবার বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, “মদ্যপ অবস্থায় ছিল অঞ্জলি। তা সত্ত্বেও স্কুটি চালাতে চাইছিল। কিন্তু সেই সময় একটি গাড়ি এসে ওকে ধাক্কা মারে। আমি একদিকে ছিটকে পড়ে যাই। আর অন্যদিকে গাড়ির নিচে আটকে যায় অঞ্জলির পা। এরপর গাড়ি ওকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যেতে শুরু করে। আমি ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম। কাউকেই ঘটনার কথা বলিনি। পুলিশে খবর না দিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলাম।”
[আরও পড়ুন: ময়দানে ফিরল স্টোনম্যান আতঙ্ক! গাছের নিচে উদ্ধার রক্তাক্ত মৃতদেহ ঘিরে চাঞ্চল্য]
পাশাপাশি নিধি এও জানান, তাঁর বান্ধবী যে গাড়ির নিচে আটকে গিয়েছেন, তা অভিযুক্তরা টের পেয়েছিল। তা সত্ত্বেও গাড়ি চালাতে থাকে তারা। অঞ্জলি সেই সময় চিৎকার করছিলেন বলেও দাবি করেন নিধি। নিধি বলেন, “গোটা পরিস্থিতি দেখে ভীষণ দিশেহারা লাগছিল। ভয় পেয়ে বাড়ি ফিরে যাই।”
দিল্লির আইনশৃঙ্খলা বিভাগের স্পেশ্যাল কমিশনার এসপি হুডা জানান, নিধির বয়ান রেকর্ড করা হবে। তাঁর বয়ান তদন্তকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এদিকে, ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় অঞ্জলির দেহ। ইতিমধ্যেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাঁর উপর কোনও যৌন হেনস্তা হয়নি বলেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল। তবে গোটা শরীরে ৪০টি ক্ষত পাওয়া গিয়েছে।