সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়বার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হলেন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। নির্বাচন শেষ হওয়ার প্রায় একমাস পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী পেল পাকিস্তান। রবিবার পাক পার্লামেন্টে আস্থাভোটের অধিকাংশই পড়ে শাহবাজের পক্ষে। পিটিআই প্রার্থী ওমর আয়ুব খানকে হারিয়ে দিলেন নওয়াজ শরিফের ভাই।
পাকিস্তানের (Pakistan) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনও দল। পিটিআই সমর্থিত নির্দলরা পেয়েছেন ১০১টি আসন, অন্যান্য সমস্ত দলের চেয়ে বেশি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছিল যথাক্রমে নওয়াজ শরিফের পিএমএল(এন) ও বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপি। ফলপ্রকাশের পরেই জোট গঠন করতে মাঠে নেমে পড়ে দুই দল। জোট গড়া নিয়ে সমঝোতা হলেও প্রশ্ন ওঠে, কোন শিবির থেকে প্রধানমন্ত্রী হবেন?
[আরও পড়ুন: আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, যোগ দিচ্ছেন রাজনীতিতে!]
প্রায় দুসপ্তাহ ধরে দীর্ঘ আলোচনার পরে স্থির হয়, জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে প্রস্তাব করা হবে শাহবাজ শরিফের নাম। নির্বাচনের আগেও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। অন্যদিকে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বিলাওয়াল বলেন, আসিফ আলি জারদারি মনোনীত হবেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে। তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়, সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গড়তে পারেব না ইমরান খানের পিটিআই।
তবে দলের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে পাক প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের নাতির মতো হেভিওয়েট নামকে তুলে ধরে ইমরানের দল। ওমর আয়ুব পাকিস্তানের রাজনীতিতে উল্লেখ্যযোগ্য নাম। ইমরান খান পিটিআই গড়ার পরে যোগ দেন। পাকিস্তানে পিটিআই সরকার গড়ার পরে সামলছেন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু আস্থাভোটে হেরে গেলেন ওমর আয়ুব। মাত্র ৯২টি ভোট পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে শাহবাজের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ২০১জন সাংসদ। তবে আগামীদিনে শাহবাজের আড়াল থেকে পাকিস্তানের সরকার চালাবেন নওয়াজই, অনুমান বিশ্লেষকদের।