কৃষ্ণকুমার দাস: এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ পদ্মা সেতু দেখার জন্য বাংলাদেশ সফরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আমন্ত্রণ জানালেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকালে ঢাকা থেকে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন,”আপনার সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ রইল। আগামী সেপ্টেম্বরে আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সাথে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি।”
কলকাতার নবান্ন (Nabanna) সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরের কোনও কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। তবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক সম্পর্ক এতটাই নিবিড় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাবেন নাকি ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রী কলকাতা ছুঁয়ে ঢাকা ফিরবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। স্বভাবতই, একুশে জুলাই সমাবেশের আগে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) আমন্ত্রণ আসায় বাড়তি উজ্জীবিত পশ্চিমবঙ্গের শাসক শিবির।
[আরও পড়ুন: পালটে গেল দূরপাল্লার ট্রেনের খাবার কেনার নিয়ম, দাম বাড়ল না কমল? জেনে রাখুন]
আসলে দুই বাংলার দুই নেত্রীর সঙ্গেই যে ব্যক্তিগত সখ্য ও আন্তরিক সম্পর্ক রয়েছে তা হাসিনার পাঠানো চিঠিতে ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে। নিজের হাতে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে, ‘ছোট বোন’ মমতাকে লিখেছেন “দুই বাংলার ভাষা, সংস্কৃতি ও আদর্শগত সাদৃশ্যের উপর ভিত্তি করে বিদ্যমান সম্পর্ককে দৃঢ়তর করতে একযোগে কাজ করার বিকল্প নেই।” আর নবনির্মিত সেতু নিয়ে বলতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা আশাপ্রকাশ করেছেন, “পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সাথে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের আত্মিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে ও বাণিজ্যিক সম্পর্কে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”
[আরও পড়ুন: দেশের একাধিক রাজ্যে সংখ্যালঘু তকমা পাওয়ার পথে হিন্দুরা! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুলল দরজা]
উল্লেখ্য, দু’বছর আগে ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) ভারত-বাংলাদেশ গোলাপি টেস্ট উপলক্ষ্যে ভারতে এসেছিলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় ইডেনে মমতা-হাসিনাকে এক সঙ্গে দেখা যায়। তার বাইরেও আলাদা করে বৈঠক করেন দুই নেত্রী। সদ্যই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলাদেশের আম পাঠিয়েছিলেন হাসিনা।