কৃষ্ণকুমার দাস: নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাঁর দল। বিপুল জনসমর্থন পেয়ে টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন শেখ হাসিনা। আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) সময় সন্ধে সাতটা নাগাদ ঢাকার বঙ্গভবনে তাঁর শপথগ্রহণ। তার আগে নির্বাচনে জয়ী সাংসদরা শপথ নেবেন ১০ জানুয়ারি, বুধবার। নির্বাচনের ৩ দিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা গঠন বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনের ভেতরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। পাশাপাশি বনানীতে বঙ্গমাতা-সহ ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামি লিগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় অন্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি উপস্থিত ছিলেন।
[আরও পড়ুন: আসানসোলে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেপ্তার RSS কর্মী, থানায় গিয়ে বিক্ষোভ অগ্নিমিত্রার]
এদিকে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে নির্বাচনে পরাজিত হেভিওয়েট প্রার্থীরা তাঁদের পরিবারের মহিলাদের নির্বাচিত করতে চেয়ে আর্জি জানিয়েছেন শেখ হাসিনার কাছে। উল্লেখ্য, আগে বাংলাদেশের সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ হিসেবে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থীরাই কেবল নির্বাচিত হতেন। কখনও কখনও বিরোধী দলের নারী প্রার্থীদের কয়েকটা আসনে নির্বাচিত করা হত। কিন্তু পরে সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনী অনুযায়ী নিয়ম বদলেছে। সংসদে ওই দলের কতজন প্রতিনিধি রয়েছে তার অনুপাতে মহিলা আসনের সাংসদদে নির্বাচিত করা হয়।
পাশাপাশি মাত্র ১১টি আসন নিয়ে কি বাংলাদেশের ৩৫০ আসনের সংসদে বিরোধী দল হতে পারবে এরশাদের দল? কী হবে বিরোধী দলের ভবিষ্যৎ? এমনই এক প্রশ্নের উত্তরে সোমবার ঢাকার গণভবনে সাংবাদিকদের সরাসরি উত্তর দিয়ে পালটা প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, “বিরোধী দলের কে কে প্রার্থী হবেন, কীভাবে চলবে বিরোধীরা, সে কি আমি ঠিক করে দেব? আর করে দিলেও সেই দল কি বিরোধী দলের গ্রহণযোগ্যতা পাবে? আর গণতন্ত্রে এটা কি উচিত?”