সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) মা শান্তিরানি চক্রবর্তীর প্রয়াণের পর শিলাজিৎ (Shilajit) বলেছিলেন, "পৃথিবী একজন মাকে হারাল। এরকম স্নেহময়ী নিরহংকারী মানুষ আমি দেখিনি।" মিঠুনের মাকে তিনি ডাকতেন 'শান্তিদিদা' বলে। জোড়াবাগানে একই পাড়াতে দুই ভিন্ন সময়কালে বেড়ে ওঠা মিঠুন-শিলাজিতের। এবার 'মহাগুরু'র নকশাল রাজনীতির কথা উঠে এল গায়কের স্মৃতিচারণায়।
লোকসভা ভোটের ময়দানে এই মুহূর্তে অতি প্রাসঙ্গিক নাম মিঠুন চক্রবর্তী। বর্তমানে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত মোদির ‘স্টার সেনাপতি’। নিত্যদিন নতুন সংলাপে ভোট বাজার সরগরম করছেন! প্রচারের ময়দানে তিনি একাই একশো ‘মহাগুরু’। কারণ রাজনীতির আঁটঘাঁট তাঁর ভালোই জানা। একসময়ে ছিলেন নকশালপন্থী। পরবর্তীতে মুম্বইয়ে মেগাস্টার হওয়ার পর দীর্ঘ বিরতি কাটিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। বছর খানেকের মধ্যেই ঘাসফুল শিবিরের প্রতিও তাঁর মোহভঙ্গ হয়। গত বিধানসভা ভোটের সময়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মিঠুন। এখন তিনি গেরুয়া শিবিরের একনিষ্ঠ সৈনিক। এবার সেই 'গৌরাঙ্গকাকু'র সম্পর্কেই সংবাদমাধ্যমের কাছে অজানা কথা জানালেন শিলাজিৎ মজুমদার।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের মামলায় জড়িয়েছেন! সোম সকালে ভোট দিয়ে বেরিয়েই আল্লু অর্জুন বললেন…]
উত্তর কলকাতায় মিঠুনের পাড়াতেই বড় হয়েছেন গায়ক-অভিনেতা শিলাজিৎ। একটা সময়ে উভয় পরিবারের মধ্যেই দারুণ সখ্যতা ছিল। স্টার মিঠুন হওয়ার আগে থেকেই পাড়ার 'গৌরাঙ্গকাকু'কে চিনতেন শিলাজিৎ। নকশাল পর্বে কীরকম সক্রিয় ছিলেন তিনি? স্মৃতির সরণিতে হেঁটে গায়ক-অভিনেতা এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, "উত্তর কলকাতার বাড়িতে আমাদের একটা ছোট্ট বারান্দা ছিল। তখন আমার বয়স ৫ বছর। একটা দৃশ্য স্পষ্ট মনে আছে। গৌরাঙ্গকাকুকে দেখতাম, হাতে বোম নিয়ে দৌড়চ্ছে। যে লোকটাকে পাড়ায় দেখতাম, তাঁকে হঠাৎ বড়পর্দা দেখলাম খলনায়ক পেটাচ্ছেন।" আসলে একই পাড়াতে থাকার সুবাদে শিলাজিতের মা মিঠুনের মাকে শান্তি মাসি বলতেন। শান্তিদিদাকে রীতিমতো ভয় পেত ছোট্ট শিলাজিৎ। গায়ক একবার বলেছিলেন , "ওঁর নাম শুধু শান্তি ছিল না উনি মাথায় হাত দিলে মনে হত শান্তি পেতাম।" স্বাভাবিকভাবেই মিঠুনের সঙ্গে ছোট থেকেই তাঁর সুসম্পর্ক। এবার 'অচেনা মিঠুনের' কথা জানালেন শিলাজিৎ।