সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মহা’সংকটে শিব সেনা (Shiv Sena)। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকারের। একনাথ শিণ্ডে-সহ ৪০ জন বিধায়ক ‘বিদ্রোহী’ হয়ে ওঠার পরই সরকার ভাঙার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাঁরা পৌঁছে গিয়েছেন গুয়াহাটিতে। সূত্রের খবর, আরও ৬ শিব সেনা (Shiv Sena) বিধায়ক বুধবার রাতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন শিণ্ডে শিবিরে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ তাঁদের, ‘হাইজ্যাক’ করে গুয়াহাটি নিয়ে গিয়েছে বিজেপি। সত্য়ি যেটাই হোক, চাপ ক্রমেই বাড়ছে শিব সেনার উপর।
এই পরিস্থিতিতে শিব সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, শিব সেনা মহারাষ্ট্রের সরকার থেকে সরে আসতে রাজি। কিন্তু ‘বিদ্রোহী’ বিধায়করা যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুম্বই ফিরে আসেন। এদিকে এনসিপি নেতা জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, তাঁরা উদ্ধব ঠাকরের পাশেই আছেন। এই বিষয়ে তিনি জানাচ্ছেন, ”মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি মহারাষ্ট্র্রের উন্নতি ও কল্যাণের জন্য তৈরি হয়েছিল। আমরা শেষ পর্যন্ত উদ্ধব ঠাকরের পাশে রয়েছি।”
কিন্তু এই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল? কবে থেকে এমন ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠলেন দলের একাংশ? শিণ্ডে-ঘনিষ্ঠ এক বিধায়ক এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার বিকেল চারটেয় মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের নির্বাচনের পরই শিণ্ডে তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে তাঁর ‘গড়’ থানে পৌঁছন। সেখানকার ইয়েউর পাহাড়ে বৈঠক হয় তাঁদের। তখনই সিদ্ধান্ত হয়, এবার তাঁরা সুরাটে যাবেন।
[আরও পড়ুন: ইডির তলবে সাড়া, ছেলেকে কোলে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেকপত্নী রুজিরা]
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিধায়ক জানাচ্ছেন, ”যেভাবে শিণ্ডেকে সাইডলাইনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিধান পরিষদ ও রাজ্যসভা নির্বাচনে, তাতে ক্ষুব্ধ দলের অনেক বিধায়কই। তাঁদের দাবি, কংগ্রেস ও এমএনসিই সিংহভাগ গুরুত্ব পাচ্ছে। শিব সেনাই কোণঠাসা। এই নিয়ে আলোচনা হয় নৈশভোজে। আর তারপরই শিণ্ডে ও বাকিরা ঠিক করেন সুরাট যাওয়ার বিষয়ে।” এই পরিস্থিতি আগেই তৈরি হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। কিন্তু রাজ্যসভা ও বিধান পরিষদের নির্বাচনের জন্য সেটা আটকে ছিল। কিন্তু এবার শিণ্ডে ও তাঁর অনুগামীরা ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠেছেন। ফলে বিষয়টা উদ্ধব ঠাকরের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলেছে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে মহারাষ্ট্রের ‘নাটক’। শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায় আপাতত, সেদিকেই নজর ওয়াকবিহাল মহলের।