সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত কঠিন লড়াই জিতলেন উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মেয়ে শিবাঙ্গী গয়াল (Shivangi Goyal)। পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার, স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের যুদ্ধ সামলেও নিজের লক্ষ্যে অবিচল থেকে দেশের একজন আমলা হলেন তিনি। ইউপিএসসি (UPSC) পরীক্ষায় ১৭৭ ব়্যাঙ্ক করেছেন শিবাঙ্গী।
উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ে পিলখুয়ার বাসিন্দা শিবাঙ্গীর জীবনে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয় বিয়ের পরেই। যদিও তার আগে স্কুল জীবন থেকেই আমলা হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তিনি। কলেজে পড়াকালীন পরীক্ষায় বসেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। এরপরেই বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। বিয়ের পরেই অন্ধকার নামে শিবাঙ্গীর জীবনে। তিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু হয় শ্বশুরবাড়িতে। এর মধ্যেই কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। দিনের পর দিন নির্যাতন চলায় কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবাঙ্গী। মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন।
[আরও পড়ুন: সরকারি গাড়িতে ভোটপ্রচার! ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ, ব্যাখ্যা চাইল কমিশন]
এরপরই নতুন করে জীবনে ফেরার যুদ্ধ শুরু। একদিকে মেয়ে বড় করার দায়িত্ব, অন্যদিকে ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি। এর মধ্যে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা শুরু হয়। এমন অশান্ত জীবনে লক্ষ্যে অবিচল থাকা সহজ কথা না। যা পেরেছেন শিবাঙ্গী। সবকিছু সামলে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খামতি রাখেননি। যদিও এই পর্বে আরও একবার ইউপিএসসিতে ব্যর্থ হন। এরপরেও অবশ্য লড়াইয়ের ময়দান ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত তাঁর ফল মিলল। বর্তমানে শিবাঙ্গী গয়াল দেশের একজন আমলা।
[আরও পড়ুন: কপিল সিব্বলের পর আনন্দ শর্মাও কি কংগ্রেস ছাড়ছেন? জল্পনার মধ্যে মুখ খুললেন প্রবীণ নেতা]
শিবাঙ্গী জানিয়েছেন, কঠিন যুদ্ধে তাঁকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করেছে বাবা-মা ও তাঁর সন্তান। তিনি জানান, বাপের বাড়ি ফেরার পরেই বাবা বলেছিলেন, তুমি যা করতে চাও সেটাই করবে। তখনই ঠিক করি, আবার ইউপিএসসির জন্য তৈরি হব। শিবাঙ্গীর বলেন, “যাঁরা শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার হন, সেই মেয়েদের বলতে চাই, ভয় পাবেন না। দেখিয়ে দিন আপনি নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন। মেয়েরা নিজেদের ইচ্ছেপূরণ করতে জানে। আপনি যদি কঠিন পরিশ্রম করেন, তবে আপনিও আইএএস (IAS হতে পারেন।” শিবাঙ্গীর মুখেই এমন কথা মানায়।