অর্ণব দাস, বারাকপুর: ভাটপাড়ার পর জগদ্দল (Jagaddal)। এবার কাজে যাওয়ার পথে যুবককে গুলি করে খুনের অভিযোগ। জগদ্দলের শান্তিনিবাসপল্লীর বাসিন্দা মৃত যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। খুনের কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রোহিত দাস। বয়স ১৯ বছর। ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার জগদ্দলের ২৬ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন শান্তিনিবাস পল্লির বাসিন্দা ওই যুবক। পরিবার সূত্রে খবর, জুটমিলে কাজ করতেন রোহিত। শনিবার রাতে কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হন যুবক। এরপরই গুলির শব্দ শুনতে পান দাস পরিবারের সদস্যরা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা ঘর থেকে ছুটে বেরন। দেখতে পান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে রোহিত। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের সদস্যরা তড়িঘড়ি যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে রোহিতের।
[আরও পড়ুন: নতুন প্রশিক্ষকই দায়ী, ডুমুরজলায় সাঁতার শিখতে গিয়ে বালকের প্রাণহানিতে অভিযোগ মায়ের]
মৃতের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শেষ মুহূর্তে রোহিত জানিয়েছিলেন করণ যাদব নামে এক যুবক তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। কিন্তু কী কারণে রোহিতকে খুন করল করণ? তা জানতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এখনও হদিশ মেলেনি অভিযুক্তের। তার খোঁজ চলছে। এদিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে রোহিতের দেহ। মৃতের পরিবারের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে করণ যাদব-সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত করণের মা বেণী যাদব বলেন, “রোহিত করণের খুব ভালো বন্ধু। আমাদের বাড়িতে ও খাওয়া দাওয়া করত। আমার বাড়ির কাজও করে দিত। কেন এমন ঘটনা ঘটল জানিনা।” ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত করণকে গ্রেফতার করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। এদিন গ্রেপ্তারের পর গুলি চালানোর কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত। করণ বলে, “ট্রিগার টানতে গিয়ে গুলি চলে গিয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনারদিন রাতে রোহিত, করণ এবং আরও কয়েকজন একসঙ্গে বসে মদ্যপান করেছিলেন। কিন্তু মদ্যপানের পর কেন বন্ধুকে গুলি করে খুন করল করণ তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আর কে কে ছিল, ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরেই ভাটপাড়ায় খুনের ঘটনা ঘটেছিল। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাকড় মহল্লায় চলে গুলি। নিহত হন সালাউদ্দিন আনসারি নামের এক যুবক। তিনি পেশায় ইমারত ব্যবসায়ী ছিলেন। যুবককে খুনের পর এলাকায় ভাঙচুরও চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তুমুল উত্তেজনা। সেই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের গুলি করে খুনের ঘটনা।