কৃষ্ণকুমার দাস: বাড়ি থেকে নয়, করোনা (Corona Virus) বিধি ভেঙে হোটেল-পার্কে হয়েছে সিরিয়ালের শুটিং। আর এতে টেকনিশিয়ানদের জীবিকার ক্ষতিও হচ্ছে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে প্রমাণ পেশ করে এমনই দাবি জানাল ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিশিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া (FCTWEI)। এ বিষয়ে বিস্তারিত জবাব দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রোডিউসার্স (WATP) সংগঠনকে শ্বেতপত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ জুন পর্যন্ত তা না করা হলে তারপর উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
বাড়ি থেকে শুটিংয়ের ফলে সিরিয়ালের মান খারাপ হচ্ছে। ১৯টি ধারাবাহিকে যেমন কোভিড বিধি লঙ্ঘন মানা হচ্ছে না, তেমনই ‘শ্যুটিং ফ্রম হোম’ নিয়ম মানা হচ্ছে না। ভাড়া বাড়ি, গুদামঘর, হোটেল বা অতিথিশালায় শ্যুটিং করা হচ্ছে। ফেসবুকের মাধ্যমে এই অভিযোগ আগেই করেছিল ফেডারেশন। যদিও প্রযোজকদের পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছিল। সোমবার ফের অভিযোগ করা হয়।
[আরও পড়ুন: বহুগামিতা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট তসলিমার, নাম না করে নুসরতের পাশেই সাহিত্যিক?]
এরপরই কিছু প্রশ্ন তোলা হয় ফেডারেশনের পক্ষ থেকে।
- বাড়ি থেকে শুটিং করেও অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কীভাবে শুটিংয়ের মতো মেক-আপ বজায় রাখছেন?
- তাঁরা এমন পোশাক কীভাবে ব্যবহার করছেন যা তাঁদের নিজেদের নয়? উইগ, গয়না কিংবা বডি প্রপগুলিই বা কোথা থেকে আসছে?
- ধারাবাহিকের সম্পাদনা, নেপথ্য সংগীতের ব্যবহারই বা কোথা থেকে, কীভাবে হচ্ছে? অত্যাধুনিক ক্রোমা ক্যামেরা কীভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। হাত ধরা, আলিঙ্গনের দৃশ্য কীভাবে দেখানো হচ্ছে?
- যে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং প্রযোজকরা এতদিন সিরিয়ালের উন্নত মান নিয়ে কলাকুশলীদের উপর চাপ সৃষ্টি করত, তারা এখন এই নিম্নমানের কাজ সম্প্রচার করার অনুমতি কীভাবে দিচ্ছেন?
- এমন অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁরা দৈনিক পারিশ্রমিকের বিনিময়ে কাজ করেন। এঁদের অবস্থা অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ। তাঁদের ক্ষেত্রে কী হবে?
এরপরই আবার অভিযোগ করা হয়, দু’টি ধারাবাহিকে ১০ বছরের কমবয়সী শিশুশিল্পী অভিনয় করছে। কোভিড (COVID-19) বিধি অনুযায়ী যা এই সময়ে বেআইনি এবং দেশের স্বাস্থ্যবিধির সম্পূর্ণ বিরোধী। এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি কাজ না করেও টেকনিশিয়ানদের নাম নিম্নমানের এপিসোডে ব্যবহার করার তীব্র প্রতিবাদ করা হয়েছে। পাশাপাশি যাবতীয় বিষয়ে ১৫ জুন অর্থাৎ মঙ্গলবারের মধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। না হলে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার পর যখন নিয়মিত শুটিং শুরু হবে, তখন এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।