সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের শুটআউট (Shootout) টিটাগড়ে, খুন এক রাজমিস্ত্রি। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানা (Titagarh) এলাকার আলি হায়দার রোডের গোয়ালা পাড়ায়। মৃত বছর চল্লিশের গুনামি খান। তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মণীশ গুপ্তর মতো কোনও রাজনৈতিক যোগ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা নিজে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধেবেলা বাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী আসে গুনামির বাড়িতে। সিঁড়ি বেয়ে বাড়ির দোতলার ঘরে উঠে সটান গুনামির মাথায় গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় গোয়ালা পাড়ায়। মৃতের মেয়ে কারিশমা খান জানান, ”দোকানে গিয়েছিলাম, হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে ছুটে আসি। তখন সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামার সময় ওরা আমায় ধাক্কা মেরে ফেলে পালিয়ে যায়। উপরে এসে দেখি, বাবা মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: বৃদ্ধের যৌন লালসার শিকার, একাধিকবার ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রতিবন্ধী যুবতী]
পরে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পুর প্রশাসক উত্তম দাস দাবি করেন, মৃত যুবক তাদের দলের সক্রিয় কর্মী। পুলিশকে সব জানানো হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার খবর পেয়ে টিটাগড় থানার পুলিশ ও বারাকপুর পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা নিজে ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত শুরু করেছেন। কারা এই ঘটনায় যুক্ত বা কী উদ্দেশে ওই ব্যক্তিকে খুন করা হল, তা নিয়ে তদন্ত করছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।
[আরও পড়ুন: করোনা কাল কাটিয়ে শিগগিরই খুলছে রাজ্যের স্কুলগুলি, দিনক্ষণ জানাল স্কুলশিক্ষা দপ্তর]
পুলিশ কমিশনার জানান, তার ঘটনার খবর পেয়ে এসে দেখেন একজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তবে সেটা গুলি না অন্য কিছু তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হবে। ঘটনায় কি রাজনীতির যোগ আছে? এর উত্তরে সিপি বলেন, তদন্ত চলছে। সবমিলিয়ে ভর সন্ধ্যায় এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্রসঙ্গত, এমনই এক সন্ধেয় টিটাগড় থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লার। সেই ঘটনায় এখন তদন্ত করছে সিআইডি।