মাসুদ আহমেদ: ফের রক্তাক্ত জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। শুক্রবার সকালে দক্ষিণ কাশ্মীরের সোপিয়ানে (Shopian) যৌথ বাহিনী ও জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। সেনার গুলিতে এক জঙ্গি (Terrorist) নিকেশ হয়েছে। তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখনও এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বাহিনী।
এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, পুলিশ, সেনা ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনীর কাছে খবর ছিল ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। এরপরই এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি। আর তখনই বাহিনীর উপরে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা গুলি চালাতে থাকে যৌথ বাহিনীও। সেনার গুলিতে মারা যায় এক জঙ্গি। সে কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য তা এখনও জানা যায়নি।
[আরও পড়ুন: দেশের ধনীতম মুকেশ আম্বানিই, নয়া তালিকায় অভাবনীয় উত্থান গৌতম আদানির]
উল্লেখ্য, সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে নিকেশ করেছে ভারতীয় সেনা। গত ১০ দিনের মধ্য়ে এই নিয়ে ৮ জন জঙ্গি মারা গিয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক লস্কর জঙ্গিকেও। ধৃত জঙ্গি আলি বাবর পাত্র স্বীকার করেছে সে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ওকারার বাসিন্দা। উনিশ বছরের ওই জঙ্গির স্বীকারোক্তি থেকে ফের স্পষ্ট হয়ে গেল দেশের নাশকতামূলক হামলার পিছনে পাক যোগের বিষয়টি।
কয়েকদিন আগেই এক গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টেরর লঞ্চপ্যাডগুলিকে সক্রিয় করেছে পাক সেনা। সেখান থেকে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার জঙ্গিরা ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে পরিষ্কার, সেই রিপোর্ট একদম সঠিক ছিল। উল্লেখ্য, গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর পাকিস্তান (Pakistan)। এদিকে আফগানিস্তানে নতুন করে ক্ষমতা দখল করা তালিবানকেও মদত দিচ্ছে ইসলামাবাদ। ফলে এবার তালিবানের মদতে ভারতে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে পড়শি দেশটি, এমনই আশঙ্কা করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।