সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গুলির ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের (Maldah) পুখুরিয়ায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। অন্যদিকে আসানসোলে এক বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগে কাঠগড়ায় পদ্মশিবির।
জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ ওই বিজেপির মণ্ডল সভাপতির নাম সুবেক আলি। রবিবার রাতে সামসিতে বৈঠক সেরে গাড়িতে কুমারগঞ্জে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় পুখুরিয়া এলাকায় তাঁর পথ আটকায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, সুবেককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। তাঁর বাঁ হাতে লাগে গুলি। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মালদহ মেডিক্যালে। বর্তমানে সেখানেই ভরতি তিনি। এদিন রাতে আসানসোলের বানপুর রোড রবীন্দ্রনগরে বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়কে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয়। বিজেপির অভিযোগ, এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে শাসকদল। তবে তৃণমূলের (TMC) তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগদানের পরও সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ‘প্রীতি’, সমালোচনায় বিদ্ধ বনশ্রী মাইতি ]
অন্যদিকে রবিবার রাত সাড়ে ১০ টা নাগাদ অশোকনগরের (Ashoknagar) আশ্রাফাবাদ এলাকায় বিজেপির দুই বুথ বুথ সভাপতি প্রদীপ সরকার ও রমেন বিশ্বাসের বাড়িতে চড়াও হয় প্রায় পঁচিশজনের একটি দল। বাড়িতে ভাঙচুরের পাশাপাশি অভিযুক্তরা পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর বিজেপির একটি কার্যালয়েও ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। ছিঁড়ে ফেলা হয় সেখানে থাকা রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও প্রধানমন্ত্রীর কাট আউট। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আহত হন মোট ৬ জন। হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তাঁরা। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদল বুঝতে পারছে তাঁর পায়ের নিচের মাটি সরছে, সেই কারণেই লাগাতার হামলা চলছে বিজেপির নেতা-কর্মীদের উপর। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। তাঁদের পালটা দাবি, আদি ও নব্য বিজেপি কর্মীদের দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।