সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যোগীরাজ্যের ‘বুলডোজার-নীতি’ নিয়ে শোরগোল গোটা দেশে। বার বার বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি-সহ বহু রাজনৈতিক দল। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও উঠেছে। যদিও খোদ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাহুবলী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) বুঝিয়ে দিলেন, বিরোধিতায় আমল দিতে রাজি নন তিনি। উলটে তাঁর প্রশ্ন, “অপরাধীদের কী আরতি করব?” তাঁর সাফ কথা, কেউ রাজ্যের উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
এএনআই দেওয়া সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, বুলডোজার এবং অত্যাধুনিক মেশিন উত্তরপ্রদেশের উন্নয়নের জন্য জরুরি। যোগীর বক্তব্য, “যদি উত্তরপ্রদেশের মতো একটি বিশাল রাজ্যে দ্রুত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়, তবে কি এ যুগেও বেলচা-কোদাল ব্যবহার করব? আগে কোনও কাজ শুরুর আগেই মাফিয়ারা এসে অবৈধভাবে সম্পত্তি দখল করত। আগের সরকারগুলি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস করেনি।”
[আরও পড়ুন: সবজির মূল্যবৃদ্ধিতে জেরবার আমজনতা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লির বাজারে রাহুল গান্ধী]
সরকার কেন অপরাধীদের বাড়ি ভেঙে দিচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে যোগী বলেন, “যারা অবৈধভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করছে তাদের আরতি করব? মাফিয়া এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক চায় উত্তরপ্রদেশের সাধারণ নাগরিকও।” তাঁর রাজ্যে বেছে বেছে সংখ্যালুঘদের টার্গেট করছে সরকার, এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন যোগী। পালটা চ্যালেঞ্জ করেন, “একজনও নির্দোষ মুসলমান এসে আমাকে বলুক যে আমি অন্যায়ের শিকার হচ্ছি। তাছাড়া, তাদের জন্য আদালতও রয়েছে।’ যোগী জানান, ধর্মের ঊর্ধ্বে আইন সকলের জন্য এক। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
[আরও পড়ুন: শুধু রাম মন্দিরে হবে না, ২৪-এর নির্বাচন জিততে উত্তরপ্রদেশের সাংসদদের বার্তা মোদির]
বন্দে মাতরমের সঙ্গে ধর্মকে জুড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে জানান, দেশ সংবিধান মেনেই চলবে। কোনও ধর্ম বা মতবাদের উপর ভিত্তি করে দেশ চলতে পারে না। যোগী বলেন, “ধর্ম এবং মতবাদ সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। আপনার বাড়িতে কিংবা আরাধনার স্থানেই সীমিত। রাস্তাঘাটে ঝামেলা বাঁধানোর জন্য নয়। যদি কেউ এদেশে থাকতে চান, তবে তাকে দেশকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে। নিজের ধর্ম বা মতবাদকে নয়। সবার আগে দেশ।”