সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের (Shraddha Walkar murder) কথা স্বীকার করে নিল লিভ ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। রাগের মাথায় প্রেমিকাকে খুন করেছিল বলেও মঙ্গলবার দিল্লির আদালতে দাবি করেছে অভিযুক্ত। এদিন ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে বিচারকের সামনে হাজির করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেখানেই অপরাধ কবুল করে সে।
এদিন আদালতে আফতাবের দাবি, তদন্তে সহযোগিতা করছে সে। তবে অপরাধ অনেকদিন আগেই সংঘটিত হয়েছে। তাই পুরো ঘটনা মনে করতে সমস্যা হচ্ছে তার। যদিও আফতাব কতটা সত্যি বলছে তা জানতে পলিগ্রাফ টেস্ট করতে চলেছে পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত খুনের কথা কবুল করলেও খুনের হাতিয়ার, দেহাংশ ও ফোন খুঁজে পায়নি পুলিশ। সেগুলির হদিশ পেতে তল্লাশি চলছে।
[আরও পড়ুন: এখনও এই কাজটি করেননি? নতুন বছরে নিষ্ক্রিয় হতে পারে আপনার প্যান কার্ড]
উল্লেখ্য, প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ দিল্লি শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়েছিল প্রেমিক আফতাব। ১৮ দিন ধরে সে এই কাজ করে। শ্রদ্ধার ‘অপরাধ’ ছিল প্রেমিককে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া। অথচ আফতাবকে ভালবেসে পরিবার, চাকরি, শহর ছেড়ে চলে আসেন দিল্লিতে। এই ঘটনায় প্রেমিক আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে চরম ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। এদিন তার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আফতাবকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেখানে সে অপরাধের কবুল করেছে বলেই সূত্রের খবর। এদিন আফতাবের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ আরও ৪ দিন বাড়াল আদালত।
আফতাবের ফ্ল্যাট থেকে ভারী ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, ওই অস্ত্রগুলির সাহায্যে প্রেমিকা শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহ টুকরো টুকরো করে কেটেছিল সে। সামনে এসেছে একটি সিসিটিভি ফুটেজ। যেখানে কাকভোরে নিজের বাড়ির বাইরে হাঁটতে দেখা গিয়েছে আফতাবকে। তার সঙ্গে দুটি ব্যাগ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, ওই ব্যাগের মধ্যেই তার প্রেমিকার দেহাংশ ছিল।