সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এএফসি ক্লাব লাইসেন্সিংয়ের জন্য মঙ্গলবার লিখিত আবেদন জানাল শ্রী সিমেন্ট। অর্থাৎ ক্লাব লাইসেন্সিং পুনর্নবীকরণ করতে যা যা কাগজপত্র লাগবে, তা যে জমা দিতে প্রস্তুত ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) ইনভেস্টর, সে কথাই এদিন স্পষ্ট করে দিল তারা। আর সেই সঙ্গেই ক্লাব ও বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জট কাটার সামান্য আশার আলোও হয়তো দেখা গেল।
এদিন শ্রী সিমেন্টের তরফে জানানো হয়, যে কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে ক্লাব লাইসেন্সিং (AFC club licensing) বাধ্যতামূলক। নাহলে আইএসএল কেন, কোনও টুর্নামেন্ট বা লিগেই খেলা যাবে না। আর লাইসেন্সিং যে শ্রী সিমেন্ট করাতে চায়, সে বিষয়টি আজ ফেডারেশনকেও জানিয়ে দেওয়া হল। আগামী ৩১ জুলাই এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার মধ্যেই কাগজপত্র পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ কোনও টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গলের মাঠে নামতে অন্তত কোনও বাধা থাকবে না। পাশাপাশি ইনভেস্টরদের তরফে এও জানানো হয়, এসসি ইস্টবেঙ্গল নামেই হবে ক্লাব লাইসেন্সিং। যদিও এর সঙ্গে দলগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই।
[আরও পড়ুন: ডাক্তার হতে চান ১৯ বছরের পড়ুয়া, স্বপ্নপূরণে হাত বাড়ালেন শচীন তেণ্ডুলকর]
উল্লেখ্য, সোমবার ৫৭ জন প্রাক্তন ফুটবলার এসে ক্লাব এবং ইনভেস্টর ইস্যুতে লাল-হলুদ (East Bengal) তাঁবুতে একসঙ্গে মিটিং করার পরেও কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়, তার কোনও দিশা দেখাতে পারেননি। প্রাক্তন ফুটবলার সুমিত মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ফুটবলারদের বোঝানোর জন্য একজন কর্পোরেট আইনজীবী নিয়ে এসেছিলেন। তিনি ফুটবলারদের সামনে চুক্তিপত্র নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। পরে যা লিখিত আকারে দেন দুই প্রাক্তন ফুটবলার চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুকুমার সমাজপতি।
লিখিত বক্তব্যে নতুন করে যে বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা হল, চুক্তিপত্র দেখার পর প্রাক্তন ফুটবলারদের মনে হয়েছে, ‘এক্সিট ক্লজ’ চুক্তিপত্রে ঠিকভাবে নেই। একতরফা এক্সিট ক্লজ তুলে দিয়ে উভয়পক্ষের জন্যই বিচ্ছেদের সুযোগ রাখা উচিত। পাশাপাশি প্রত্যেক প্রাক্তন ফুটবলারই বলেন, আইএসএলে (ISL) খেলতে হবে। আর ফুটবল রাইটস যেহেতু শ্রী সিমেন্টের কাছে রয়েছে, তাই ওদের দল নামাতে হবে। তবে চুক্তির শর্ত নিয়ে নিজেদের অবস্থানে এখনও অনড় শ্রী সিমেন্ট। যদিও ক্লাব লাইসেন্সিং নিয়ে ইনভেস্টররা পদক্ষেপ করায় আগামিদিনে জট কাটার ইঙ্গিতই মিলছে বলে মনে করছে ফুটবল মহল।