সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয়েছিল পাঞ্জাবী সংগীত শিল্পী তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসেওয়ালাকে। দু’ ডজনেরও বেশি গুলি তাঁর শরীরকে বিদ্ধ করেছিল। যার মধ্যে একটি লাগে মাথায়। আর এই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। সোমবারের ময়নাতদন্তের পর সামনে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মঙ্গলবার সকালে তাঁর দেহ হাসপাতাল থেকে ফিরেছে বাড়ি। জনপ্রিয় সংগীত শিল্পীকে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন অনুরাগীরা।
পাঞ্জাব পুলিশ প্রধান ভিকে ভাওরা জানাচ্ছেন, তাঁদের প্রাথমিক অনুমান অন্তর্কলহের জেরেই খুন করা হয়েছে সিধুকে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের একটি দল তাঁর গাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, গাড়ির সামনে ও পিছনে প্রচুর বুলেটের দাগ রয়েছে। অর্থাৎ তাঁর উপর যে ভয়ংকর হামলা হয়েছিল, তা গাড়িটির অবস্থা দেখেই স্পষ্ট। সিধুর বাবা বলকুর সিং জানাচ্ছেন, তিনি ছেলের গাড়ি অনুসরণ করে একটি অন্য গাড়িতে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে নিযুক্ত দুই সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীও ছিলেন। দূর থেকে তিনি দেখেছিলেন, তাঁর ছেলের গাড়িটিকে ফলো করা হচ্ছে। তারপরই ঘটে যায় এমন মর্মান্তিক ঘটনা। বুলেটপ্রুফ গাড়ি হওয়া সত্ত্বেও অত্যন্ত করুণ অবস্থা হয় সিধুর গাড়িটির।
[আরও পড়ুন: ‘আমি কম যোগ্য?’, রাজ্যসভার টিকিট না পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন নাগমা]
পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চলতি বছর নভেম্বর মাসেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার কথা ছিল সিধুর। কিন্তু তার আগেই সব শেষ। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, গত এপ্রিলে আমনদীপ কৌরের সঙ্গে চারহাত এক হবে তাঁর। দু’বছরের প্রেমই বদলে যাওয়ার কথা ছিল পরিণয়ে। কিন্তু মার্চে পাঞ্জাব নির্বাচনের কারণে সে সময় বিয়ে পিছিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন জীবনে আর পা রাখা হল না সিধুর। নিরাপত্তা প্রত্যাহারের পরেরদিনই খুন হন সিধু। তাঁর খুনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে নানা প্রশ্ন। যার উত্তর খুঁজছে তাঁর হত্যাকাণ্ডে গঠিত হওয়া SIT।