বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: নাগাড়ে বৃষ্টি। নদীতে জলোচ্ছ্বাস। আর তার জেরেই ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে সিকিম। জলের তলায় একাধিক নির্মীয়মান রাস্তা। প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে জেসিবি মেশিন। বিচ্ছিন্ন একাধিক সড়কপথও।
শনিবার রাত থেকে উত্তরের বিস্তীর্ণ এলাকায় অতিভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। রবিবার সকাল থেকে চলছে ভারী বৃষ্টি। যার জেরে আপার সিকিম থেকে প্রবল বেগে জল নামছে লোয়ার সিকিমে। ব্যাপক বৃষ্টির জেরে উত্তর সিকিমে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে তিস্তা। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে একাধিক রাস্তা, সেতু।
[আরও পড়ুন: রথের দুপুরে শহরজুড়ে প্রবল বৃষ্টি! আচমকা সন্ধে নামল কলকাতায়]
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই উত্তরে মারাত্মক বৃষ্টি চলছে। ফলে একাধিক রাস্তা জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করতে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। সপ্তাহান্তের বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে সেই রাস্তা তৈরির জেসিবি মেশিন। নির্মীয়মান রাস্তা ভেসে গিয়েছে জিমায়। এর মধ্যেই তিস্তার জলোচ্ছ্বাসে ভেসেছে লাচেন-থাঙ্গু সংযোগকারী নির্মীয়মান রাস্তা। ফের ধস নেমেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে। উত্তর সিকিমের লিংটং এলাকার পরিস্থিতিও ভয়াবহ। জলে ডুবেছে কালিম্পংয়ের তিস্তা বাজার।
শুধু সিকিম বা কালিম্পং নয়, শুক্রবার ও শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে করলা নদীর জলে ডুবল জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা। শহরের ১ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের নিচ মাঠ ও পরেশ মিত্র কলোনি এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। বন্যার কবলে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অনেকের রাত কাটল ফ্লাড শেল্টারে। জায়গা না পাওয়ায় নিজের টোটো রিক্সাতেই রাত জাগলেন বহু।