সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে গান চুরি করা, তার পর আবার তাকে প্রচলিত বলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া। এই দুই বিষয়েই প্রবল আপত্তি শিলাজিতের (Silajit)। সোশাল মিডিয়ায় জানালেন তীব্র প্রতিবাদ। ২০০৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল শিল্পীর ‘লাল মাটির সরানে’ অ্যালবাম। তা শেয়ার করেই জানালেন নিজের বক্তব্য।
শিলাজিৎ জানান, তাঁর এই অ্যালবামে যেমন ভবা পাগলার গান ছিল, তেমনই পাঁকাল ক্ষ্যাপার গান ছিল, প্রচলিত গান ছিল, আবার সুনীল মাহাতোর ‘বতরে পিরিতি ফুল ফোটে’ও ছিল। ছিল অরুণ মজুমদারের ‘ওস্তাদ’। এর পাশাপাশি রাখা হয়েছিল শিলাজিতের লেখা ও সুর করা টাইটেল ট্র্যাক ‘লাল মাটির সরানে’। ফলে সেই গানটি কোনওভাবেই প্রচলিত নয়।
[আরও পড়ুন: ডেঙ্গু আক্রান্ত শ্রীজাত, ভর্তি করা হল হাসপাতালে]
এর পরই শিল্পী লেখেন, “আমি অবাক হয়ে গেলাম দেখে কেউ কেউ এই গানটা গেয়ে প্রচলিত বলে ছাপ মেরে পাবলিশ করছে নিজের চ্যানেল থেকে। Memocide…? নাকি গুরুদেবদের কাছে শেখা, ঝেপে দাও তারপর ধরা পড়লে বলো জানতাম না। এই গানটার মধ্যে সাঁওতালি ভাষাতে যে দু-লাইন ‘এ দুলৌর মায়না… আমা ওরা ওকারে এ দুলোর ময়না তিগুন মেসেনা’ এটুকু লিখে দিয়েছিল নরেন হাঁসদা, সেটুকুও প্রচলিত নয়।”
অবশ্য এখনই কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছেন না শিলাজিৎ। তাঁর কথায় “দেখি যদি ওনাদের শুভ বুদ্ধি কাজ করে, নইলে আমার শ্রোতারা যারা খুব ভালো করে জানেন এই গানটা আমার বাপেরও না আমার নিজের, তারাই যা বলার বলবে। আজ থেকে প্রায় তিরিশ বছর আগে আমি গান গাইতে এসেছিলাম তার কারণ আমার গান একজন নিজের গান বলে চালানোর চেষ্টা করেছিল। গান গুলো রিলিজ হয়নি বলেই। কিন্তু রিলিজড গান, যেটার ডকুমেন্ট রয়েছে, সেটাকে যদি আমার অধিকার থেকে ছেনাতে চায় তাকে তো গান চোরও বলতে পারবো না, এতো ডাকাতি? এতো সাহস? বেশ দেখা যাক।”