সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “হেই সামালো ধান হো কাস্তেটা দাও শাণ হো”, এই কালজয়ী গান নিশ্চয় বহুবার শুনেছেন গায়ক শিলাজিৎ (Silajit Farming)। সেই গানের সুর বুকে নিয়েই কি মাঠে নেমে পড়লেন তিনি? গায়ক অবশ্য এ প্রশ্নের উত্তর দেননি। কিন্তু মাটির সঙ্গে মেলামেশাতেই যে তাঁর মনের আরাম, তা গোপন করেননি তিনি। ছোটবেলায় খুব কাছ থেকে জমি চাষ দেখেছেন। নিজে এক-আধবার মাঠে নেমে পড়ার আবদারও করেছিলেন। সেই ছেলেবেলার লালিত স্বপ্ন বুঝি এতদিনে পূর্ণতা পেল। ট্রাক্টরের পিছনে দড়ি ধরে দিব্যি চাষের জমিতে নেমে পড়লেন শিলাজিৎ। ফেসবুকে (Facebook) আপলোডও করলেন সেই ভিডিও।
সোমবার দুপুরে ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেন গায়ক। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ট্রাক্টরের পিছনে দড়ি ধরে রয়েছেন শিলাজিৎ। সেই অবস্থাতেই চলছে ট্রাক্টরটি। এভাবেই চাষের জন্য এবরো খেবরো মাটি সমান করা হচ্ছে। উদ্দেশ্য একটাই, সেই জমিতে যাতে ভালভাবে চাষ করা যায়।
[আরও পড়ুন: ‘২ জনকে মেরে এসেছি, আরও মারব’, ছুরি হাতে দম্পতির উপর হামলার পর হুমকি আততায়ীর]
ভিডিও আপলোড করে শিলাজিৎ লিখেছেন, “কী আরাম মাটির সাথে মেলামেশাতে।
ছোটবেলায় হারু কাকা, সোম মাঝি গরুর পেছনে মই বেঁধে জমি সমান করত। আমি বায়না ধরতাম আমিও চাষ দেব। বাধ্য হয়ে মাঝে মধ্যে কোলে তুলে নিয়ে আমার বায়না মেটাত ওরা। বড় হয়ে গিয়েছি। হারু কাকারা নেই। ট্রাক্টর এখন জায়গা নিয়েছে গরুর। আর আমি বড় হলেও বাচ্চাই আছি।”
মাটির কাছে থাকা মানুষদের জোর কতটা, তা গোটা দেশই দেখেছে। কৃষক আন্দোলনের (Farmers Protest) চাপে কৃষি আইন (Farm Laws) প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে সরকারকে। ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা যে শুধু বিরল, তাই নয়, বলা ভাল বেনজির। কৃষকদের গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতেই ছোটবেলার ইচ্ছে যেন পূরণ করলেন শিলাজিৎ। সুযোগ পেয়েই নেমে পড়লেন চাষের ময়দানে।
শিল্পীর এই কাজ বেশ পছন্দ হয়েছে তাঁর অনুরাগীদের। “জয় গুরু… লহ প্রণাম, মাটিকেও প্রণাম… তোমাকে ভালবাসি”, “হেব্বি মজা”, “সত্যিই কী মজা”— এমন মন্তব্যে ভরে গিয়েছে শিলাজিতের কমেন্ট বক্স। একজন আবার শিলাজিৎকে ‘মাটির মানুষ’ বলেও সম্বোধন করেছেন।