সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিম দিল্লির (West Delhi) একটি পরিবারে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়ে পাশবিক নির্যাতনের (Physical Assault) শিকার ৪৮ বছরের এক বাঙালি মহিলা। তাঁকে নিয়মিত মারধর ও ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ। অসুস্থ ওই মহিলা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর চোখে, মুখে, পেটে মারাত্মক জখমের চিহ্ন রয়েছে, জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই মহিলার নাম রজনী। তিনি শিলিগুড়ির (Siliguri) বাসিন্দা। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে পশ্চিম দিল্লির রাজৌরির বাসিন্দা অভিনীত ও তাঁর স্ত্রীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করছিলেন। পশ্চিম দিল্লির ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ ঘনশ্যাম বনসল জানিয়েছেন, গত ১৭ মে রাজধানীর সফদরজং হাসপাতালে ভরতি করা হয় অসুস্থ রজনীকে। এরপরেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। রজনীর গায়ে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
[আরও পড়ুন: শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আত্মসমর্পণের জন্য সময় চাইলেন সিধু]
রজনী অভিযোগ করেছেন, নানা বাহানায় তাঁকে প্রতিদিনই মারধর করত অভিনীত ও তাঁর স্ত্রী। মাসে সাত হাজার টাকার কাজ খোয়ানোর ভয়ে কিছু বলতে পারতেন না তিনি। ক’দিন আগেও একই ঘটনা ঘটে। এমনকী মারধর করার পর তাঁর চুল কেটে দেয় স্বামী-স্ত্রী। যে সংস্থার মাধ্যমে ওই বাড়িতে কাজ পেয়েছিলেন রজনী, তারা জানিয়েছে, গত রবিবার সন্ধেবেলা অভিনীত ফোন করে জানায় রজনী অসুস্থ। তাঁকে শিলিগুড়ির বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করতে হবে। এরপর সংস্থার অফিসের বাইরে রজনীকে ফেলে চলে যায় স্বামী-স্ত্রী। জব এজেন্সির মালিক বলেন, “আমরা যখন তাঁকে উদ্ধার করি তখন সে অসম্ভব অসুস্থ। প্রস্রাব করে তার মধ্যেই বসেছিল। নড়াচড়ার ক্ষমতা ছিল না।”
[আরও পড়ুন: চিনা সংস্থাকে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের চাকা তৈরির বরাত, মোদির দ্বিচারিতা নিয়ে সরব কংগ্রেস]
পুলিশি তদারকিতে হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা হয় রজনীর। এরপরই দেখা যায়, তাঁর চোখে, মুখে, পেটে এবং শরীরের আরও কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অভিনীত ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে মারধর, অন্যায়ভাবে আটকে রাখা-সহ একাধিক অভিযোগে বিভিন্ন ধারায় মামলা করেছে পুলিশ।