সুব্রত বিশ্বাস: হাওড়া স্টেশনে (Howrah station) পার্সেলে ফেলে রাখা বাক্স থেকে উদ্ধার প্রায় চারশো কিলো রুপোর গহনা ও বাট। আরও একটি বাক্স থেকে নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ ফেন্সিডিল উদ্ধার করে আরপিএফ।
[আরও পড়ুন: সিপিএম জেলা সম্মেলনের মঞ্চে ‘স্ত্রী’ ছবির গান গেয়ে শীর্ষ নেতৃত্বকে তোপ প্রতিনিধিদের]
এদিন দুপুরে আরপিএফ হানা দেওয়ার পর বাক্সগুলি দাবিহীন ভাবে পড়ে থাকায় তা তুলে আনে রক্ষীরা। বাক্সগুলি থেকে প্রায় চারশো কিলো রুপোর গহনা, বাট ও ৬০০ বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া যায়। আরপিএফের অনুমান, রুপোর বাটগুলি ডাউন রাজধানী এক্সপ্রেস ও কাফ সিরাপগুলি ডাউন বিভূতি এক্সপ্রেসে হাওড়া আসে। এগুলি যে ভুয়ো তথ্য দিয়ে বুকিং করা হয়েছিল সে সম্পর্কে নিশ্চিত রেলরক্ষীরা। সূত্রের মতে, অধিকাংশ ট্রেনেই এখন পার্সেল ভ্যান লিজে দেওয়ায় নিষিদ্ধ বহু সামগ্রী ভুয়ো তথ্য দিয়ে বুকিং করা হয়। এদিন এই আটক সামগ্রী কাস্টমসের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে আরপিএফ জানিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই রেলের পার্সেল ভ্যানে চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। হাওড়া স্টেশনে ভুয়ো নথি হাতিয়ার করে চোরাই যন্ত্রাংশ, নিষিদ্ধ কফসিরাফ ও সোনা-রুপোর বাট পাচার করা হয়। বেশকয়েবার অভিযান চালিয়ে নিধিশশ সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে আরপিএফ।
উল্লেখ্য, সোনা-রুপো পাচার ক্রমেই বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। পড়শি রাজ্য ও বাংলাদেশ থেকে এরাজ্যে ঢুকছে বহু নিষিদ্ধ মাদক। আর গোটা দেশে সেই সমস্ত নিষিদ্ধ পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে। একইসঙ্গে, জিএসটি ফাঁকি দিতে এক শ্রেণির ব্যবসায়ী রেলের মাধ্যমে মাল পাচার করছে। কাগজপত্রহীন ভাবে সোনা-রুপোর বাট নিয়ে এসে অলঙ্কার তৈরি করে তা আবার একইভাবে ট্রেনে নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে দিচ্ছে তারা। কয়েকমাস আগে হাওড়া নিউ কমপ্লেক্সে ১৫ কিলো রুপো-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল আরপিএফ। আনলক পর্যায়ে ট্রেনে করে এই সোনা-রুপো পাচারে উদ্বিগ্ন পুলিশ ও আরপিএফ। কর ফাঁকি দিতে এই প্রবণতা বাড়ছে বলে তাদের অনুমান। তবে, পাচারকারীদের রমরমা রুখতে ট্রেনে ও স্টেশনে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।