সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাড়তে থাকা জনসংখ্যা দেশের উন্নতির পথে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। অথচ জরুরি অবস্থার পর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানালেন ইনফোসিস প্রধান নারায়ণ মূর্তি। তাঁর দাবি, এই সমস্যা ভবিষ্যতে বাসস্থান ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে চলেছে।
প্রয়াগরাজে মতিলাল নেহরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ইনফোসিস কর্তা বলেন, 'জরুরি অবস্থার পর ভারতীয়রা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণকে একেবারেই গুরুত্ব দেয়নি। ভবিষ্যতে দেশের অগ্রগতির পথে এই সমস্যা গুরুতর আকার নেবে দেশে। কারণ আমেরিকা, ব্রাজিল, চিনের মতো দেশের তুলনায় ভারতের কাছে জমি অত্যন্ত কম। অথচ জনসংখ্যা অত্যন্ত বেশি।'
[আরও পড়ুন: মায়ের কোল থেকে তিন বছরের শিশুকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ! প্রকাশ্যে ভয়াবহ ভিডিও]
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নারায়ণ মূর্তির এই বক্তব্য যে যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ, তথ্য বলছে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। অথচ ২০১১ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ১২১ কোটি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্ট বলছে ২০৩৬ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটা ১৫২ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, পরিস্থিতি এই পর্যায়ে গেলেও সরকারের তরফে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে কোনও পদক্ষেপ এখনও সেভাবে নেওয়া হয়নি। অতীতে কংগ্রেস জমানায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও পরে মোদি সরকারের আমলে ধীরে ধীরে তা কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে এমারজেন্সি পরবর্তী সময়ের প্রসঙ্গ তুলে নারায়ণ মূর্তির এই বক্তব্য নিশ্চিতভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
[আরও পড়ুন: সীমান্তে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, জওয়ানদের হাতে রাখি পরালেন কাশ্মীরের বোনেরা]
উল্লেখ্য, এর আগে দেশের যুব সমাজকে সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন নারায়ণ মূর্তি। তাঁর সেই বক্তব্যে শোরগোল পড়ে যায় গোটা দেশে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, অবসর নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি সপ্তাহে ৮৫-৯০ ঘণ্টা কাজ করতেন। এদিন অবশ্য কাজের সময়কাল সরাসরি উল্লেখ না করলেও তিনি বলেন, দেশের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষকে আবেদন জানান কঠোর পরিশ্রমের।