সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের সব স্কুলে মর্নিং অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়াটা বাধ্যতামূলক। গত বুধবার এই নির্দেশিকা দিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল। ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সব স্কুলকেই কড়াভাবে নির্দেশ পালন করার কথা বলা হয়েছে। কাশ্মীর প্রশাসন মনে করছে, বেশ কিছু স্কুল মর্নিং অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ব্যাপারে উদাসীন।
বুধবার এক বিবৃতিতে স্কুলগুলিকে মোট ১৬ দফা নির্দেশিকা দিয়েছে কাশ্মীর (Kashmir) প্রশাসন। যার মধ্যে প্রধান হল, জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে মর্নিং অ্যাসেম্বলি শুরু করা। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, "ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দিন শুরু করা এবং পড়ুয়াদের মধ্যে একতা ও শৃঙ্খলাবোধ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে স্কুল ব্যবস্থায় মর্নিং অ্যাসেম্বলির মতো একটি রীতির গুরুত্ব অপরিসীম।"
[আরও পড়ুন: সাংসদ হতেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা? জমি মামলায় ইউসুফকে নোটিস বরোদা পুরসভার]
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। তার আগে কাশ্মীরের নিজস্ব পতাকা এবং রাজ্য সঙ্গীত ছিল। বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা বাতিল এবং কাশ্মীর ও লাদাখকে আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণার পর সেগুলি বিলুপ্ত হয়। বস্তুত তারপর থেকেই কাশ্মীরের স্কুলগুলিতে মর্নিং অ্যাসেম্বলিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক। এমন নয় যে জম্মু-কাশ্মীরের স্কুলে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। প্রশাসনের নজরে এসেছে অনেক স্কুল এই ব্যাপারে যথেষ্ট উদ্যোগী নয়। সম্ভবত সেকারণেই স্কুলগুলিকে আরও একবার নিজেদের কর্তব্য মনে করিয়ে দিল প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: দুবাইয়ের ধাঁচে এবার পুজোর আগে কলকাতায় শপিং ফেস্টিভ্যাল, উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রীর]
উল্লেখ্য, বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকেই কাশ্মীরের প্রশাসন কেন্দ্রের হাতে। মোদি সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এই মুহূর্তে কাশ্মীর চালাচ্ছেন উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহা (Manoj Sinha)। তিনিই জাতীয় সঙ্গীত বাধ্যতামূলক করর নির্দেশ দিয়েছেন। পড়ুয়াদের মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগ্রত করতেই এই সিদ্ধান্ত।