সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। যাঁরা গাইতে চান না তাঁদের কোনওভাবে দেশদ্রোহী বলা যাবে না। দেশে রাষ্ট্রবাদের জিগির তোলা গেরুয়া শিবিরের এক মন্ত্রীর কথায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। তাও আবার মুখতার আব্বাস নকভি। ‘বন্দে মাতরম’ ‘ভারত মাতা কি জয়’ না বললে দেশদ্রোহীর তকমা কিন্তু সংঘ পরিবার এবং বিজেপিই সেঁটে দিয়েছে। সেই বিজেপিরই শীর্ষ নেতা হয়ে গেরুয়া শিবিরের ‘বিরুদ্ধাচরণ’! রাজনৈতিক মহলে ধোঁয়াশা বাড়িয়েছে নকভির এমন মন্তব্য।
[OMG! জঙ্গি গোষ্ঠীতে নাম লিখিয়েছে নিখোঁজ বিএসএফ জওয়ান!]
নকভির বক্তব্য, ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া না গাওয়া ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। এ নিয়ে কাউকে জোর করা যায় না। তাই বলে গাইতে না চাইলে কাউকে দেশদ্রোহী তকমা দেওয়া যেতে পারে না। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নকভি সাম্প্রতিক ‘বন্দে মাতরম’ ইস্যুতে আরও বিতর্ক বাড়িয়েছেন এই কথা বলে। শনিবারই মহারাষ্ট্র বিধায়সভায় শাসকদল বিজেপির বিধায়করা সমাজবাদী পার্টির নেতা আবু আসিম আজমিকে তুলোধোনা করেন এই ইস্যুতে। অভিনেত্রী আয়েশা টাকিয়ার শ্বশুর আবু আজমি স্কুল-কলেজে ‘বন্দে মাতরম’ বাধ্যতামূলকের প্রতিবাদ করে বিজেপির রোষে পড়েন। প্রসঙ্গত, মাদ্রাজ হাই কোর্ট তামিলনাড়ুর সব স্কুল-কলেজে জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বাধ্যতামূলকের নির্দেশ দেয়। সেই প্রেক্ষিতেই বিজেপি বিধায়ক রাজ পুরোহিত মহারাষ্ট্রেও একইভাবে স্কুল-কলেজে ‘বন্দে মাতরম’ গাওয়া বাধ্যতামূলক করার আবেদন করেন। তাতেই বাদ সাধেন আবু আজমি। বলেন, দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হলেও তিনি ‘বন্দে মাতরম’ গাইবেন না। তাঁর সুরেই সুর মেলান অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদ-উল-মুসলিমিন পার্টির নেতা ওয়ারিস পাঠান। হুঁশিয়ারি দেন, মাথায় বন্দুক ঠেকালেও ‘বন্দে মাতরম’ গাইবেন না। তাতে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রকান্ত পাটিলের প্রশ্ন ছিল, ‘বন্দে মাতরম’, ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলতে সমস্যা কোথায়?
[ধর্ষণে অভিযুক্তকে গুলি করে হত্যা করল জঙ্গিরা]
‘বন্দে মাতরম’ ইস্যু ছাড়াও নীতীশ প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন নকভি। যাঁর সঙ্গে একসময় আদায়-কাঁচকলা সম্পর্ক ছিল, সেই নীতীশের বন্দনাতেই মেতেছেন নকভি। বলেছেন, জেডি (ইউ) বরাবরই শরিক ছিল বিজেপির। মনোমালিন্য যা ছিল তা একসময়ের কথা। কে কখন কার সমালোচনা করেছেন তা এখন বড় কথা নয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সুশাসনের পক্ষে যে থাকবে তাকেই বিজেপি সমর্থন জানাবে। তা সে যেই হোক।
The post ‘বন্দে মাতরম’ গাইতে না চাইলে দেশদ্রোহী বলা যাবে না, নকভির মন্তব্যে বিতর্ক appeared first on Sangbad Pratidin.