নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: তিনি কি তৃণমূলের (TMC) জনপ্রতিনিধি নাকি বিজেপির (BJP)? তার নিষ্পত্তি করতে সংসদের প্রিভিলেজ কমিটি আগেও বেশ কয়েকবার শুনানি করেছে। এবার কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ চূড়ান্ত হওয়ার পালা। সংসদ ভবন সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহেই প্রিভিলেজ কমিটিতে এ বিষয়ে শুনানি হবে। সেই মর্মে তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudip Banerjee) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন লোকসভার ডেপুটি সেক্রেটারি। শুনানির সময় তাঁকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সভামঞ্চে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ শিশির অধিকারীকে। অমিত শাহর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ের পাশাপাশি মঞ্চে বসেও ছিলেন তিনি। মনে করা হয়েছিল, সেই মঞ্চেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যদিও গেরুয়া পতাকা হাতে নেননি তিনি। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রাক্কালে শিশিরবাবু নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে বলেছিলেন, “অনেকে অনেক কিছু বলছেন। কিন্তু আমি কোনও দলের পতাকা হাতে নিইনি। আমি তৃণমূলে ছিলাম, আছি, থাকব।” এমনকী নির্বাচনের দিনও তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”দ্রৌপদী মুর্মু ভাল প্রার্থী। যোগ্য প্রার্থী। তবে দল যাঁকে বলেছেন তাঁকেই ভোট দিয়েছি। নেত্রীর নির্দেশমতো ভোট দিয়েছি।”
[আরও পড়ুন: আজ দিনভর মেঘলা আকাশ, সোমবার বৃষ্টি বাড়ার সম্ভাবনা রাজ্যের এই জেলাগুলিতে]
যদিও শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ বাতিল নিয়ে অনেক আগে থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। তাঁর সাংসদ পদ খারিজের দাবি তুলে লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের টিকিটে জেতা বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পদ খারিজের দাবি তুলে লোকসভা (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠানো হয়। শিশির অধিকারীর ক্ষেত্রেও যে দল সেই পথে হেঁটেছে।
[আরও পড়ুন: হাতের মেহেন্দি তরতাজা নাবালিকাকে ঠেলে দিয়েছিল মৃত্যুর মুখে! প্রাণ ফেরাল কলকাতার হাসপাতাল]
গত ২১ তারিখ লোকসভার তরফে ডেপুটি সেক্রেটারি তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান। তাতে জানানো হয়, ২৮ তারিখ এই সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি। তাতে হাজির থাকতে হবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। শিশির অধিকারী সম্পর্কে তৃণমূলের বক্তব্য তাঁর থেকেই শুনবে প্রিভিলেজ কমিটি। সম্ভবত সেখানেই চূড়ান্ত হবে শিশির অধিকারীর ভবিষ্যৎ।