shono
Advertisement

অযোধ্যায় প্রাণ দিয়েছিলেন দুই করসেবক ভাই, রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য হতে চান বোন

আরএসএস-কে চিঠি পূর্ণিমা কোঠারির। The post অযোধ্যায় প্রাণ দিয়েছিলেন দুই করসেবক ভাই, রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য হতে চান বোন appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 06:11 PM Feb 15, 2020Updated: 06:19 PM Feb 15, 2020

সংবাদ প্রতিদিন, ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯০ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে নিহত হন রাম কোঠারি ও শরদ কোঠারি। রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন করসেবকদের বোন পূর্ণিমা কোঠারি। অযোধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকার নির্মিত ‘শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের’ সদস্য হতে চান পূর্ণিমা কোঠারি। এই ট্রাস্টই অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের সমস্ত দায়িত্ব পালন করবে।

Advertisement

একটি সংবাদমাধ্যমকে পূর্ণিমা কোঠারি জানান, “প্রায় ৩০ বছর ধরে আমি এই লড়াই চালিয়েছি। দাদাদের মৃত্যুর পর বহু মানুষ আমাকে এই ট্রাস্টের সদস্যপদ গ্রহণ করার কথা বলেন। তাই শেষ পর্যন্ত আমিও এই ট্রাস্টের সদস্য পদ গ্রহণ করার জন্য বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও রাম মাধবের কাছে ইচ্ছাপ্রকাশ করি। জানুয়ারিতে আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক সুরেশ জোশীর কাছে চিঠিতে এই ইচ্ছার কথা জানাই। এখন দেখার অপেক্ষা কবে এই ইচ্ছাপূরণ হয়।” তিনি জানান, “২৩ জানুয়ারি, যখন অযোধ্যায় ছিলাম তখন মহন্ত নৃত্যগোপাল দাসজি আমায় আশীর্বাদ করেন ও এই ট্রাস্টের সদস্যপদ গ্রহণ করার কথা বলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই মন্দির নির্মাণের জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের পরিবারের নাম ট্রাস্টের সঙ্গে থাকা উচিৎ। আমি শুনেছি এই ট্রাস্টে একজন মহিলার নাম রাখা হবে, আশা রাখছি সেই তালিকায় আমার নাম ও উঠবে।”

[আরও পড়ুন: ‘খুল্লমখুল্লা প্রেম নয়’, ভ্যালেন্টাইনস ডে’তে একাধিক শহরে তাণ্ডব বজরং দলের]

বর্তমানে পূর্ণিমা কোঠারি, তার ভাই রাজেশ আগরওয়াল ও তাদের এক বন্ধু রাম শরদ কোঠারি স্মৃতি সমিতি নামে একটি সংস্থার পরিচালনা করেন। প্রতিবছর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক ক্ষেত্রে যারা সাহায্য করেন তাদের পুরষ্কৃত করা হয় এই সংস্থার তরফ থেকে। এই সংস্থা পরিচালনার পাশাপাশি পূর্ণিমা কোঠারি তাঁর পারিবারিক ব্যবসা ও দেখাশোনা করেন। পূর্ণিমা কোঠারি জানান, “রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সক্রিয় সদস্য ছিলেন রাম কোঠারি ও শরদ কোঠারি। মাত্র ২০ বছর বয়সেই তারা আরএসএস-এর তিন বছরের প্রশিক্ষণ পূরণ করেন। এরপর ১৯৯০ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতা থেকে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এই দুই যুব ‘করসেবক’। ঘুরপথে তাঁরা ৩০ অক্টোবর অযোধ্যায় প্রবেশ করেন। কার্তিক পূর্ণিমার দিন অযোধ্যায় হনুমান মন্দিরের সামনে ভজন গাইতে বসলে তাঁদের উপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ।” দাদাদের স্মৃতি চারণের ফাঁকে তখন পূর্ণিমা কোঠারির চোখের কোণ চকচক করে ওঠে। বোধহয় হারিয়ে যান সেদিনের মর্মান্তিক স্মৃতিতে।

The post অযোধ্যায় প্রাণ দিয়েছিলেন দুই করসেবক ভাই, রাম মন্দির ট্রাস্টের সদস্য হতে চান বোন appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement