সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: INDIA জোটে থাকলেও তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে সমন্বয় কমিটিতে সিপিএম না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবার পুরোপুরি জোট থেকে বেরিয়ে যেতেও নারাজ বামেরা। সমন্বয় কমিটির বাইরে থেকেও জোটসঙ্গীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechuri)।
গত কয়েকদিনে জোটের তিনজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সীতারাম। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) দিল্লির বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন ইয়েচুরি। তার আগের দিন ওই বাড়িতেই ছিল ‘ইন্ডিয়া’র সমন্বয় কমিটির বৈঠক। এরপর আবার গত বুধবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে দেখা করে ইন্ডিয়াকে শক্তিশালী করার কথা বলেন সীতারাম। বৃহস্পতিবার ইয়েচুরি গিয়েছিলেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে। ইয়েচুরির কথা হয় লালুপুত্র তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গেও।
[আরও পড়ুন: স্কুলে ৮ বছরের দলিত ছাত্রীকে ধর্ষণ পিওনের! ক্ষোভে পুলিশের গাড়িতে আগুন জনতার]
শরদ পওয়ার ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির প্রবীণতম সদস্য। আর নীতীশ কুমার এই জোটের অন্যতম প্রধান হোতা। এর বাইরে কংগ্রেসের সঙ্গেও সিপিএম (CPIM) নেতাদের নিয়মিত যোগাযোগ আছে বলে শোনা যাচ্ছে। সিপিএমের বক্তব্য, ইন্ডিয়া জোটকে শক্তিশালী করা সিপিএমের লক্ষ্য। কিন্তু সেজন্য তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে যাওয়া হবে না। তাছাড়া এই ধরনের জোটে আলাদা করে যৌথ সাংগঠনিক কাঠামোর প্রয়োজন হয় না বলেই মত সিপিএমের।
[আরও পড়ুন: রোগী সেজে চিকিৎসকের চেম্বারে ঢুকে ডাকাতি, চিরকুটে ‘দুঃখিত’ লিখে গেল দুষ্কৃতী]
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, দলের এই দ্বিমুখী অবস্থান আদৌ কর্মীদের বোধগম্য হবে তো? নিচুতলার কর্মীরা এমনিতেই বেশ বিভ্রান্ত। কিন্তু সিপিএমের সাফ কথা, ইন্ডিয়াকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই ধরনের বৈঠক চলেব। তবে কোনও সাংগঠনিক কাঠামোতে পার্টি থাকবে না। সেই সঙ্গে এড়াতে হবে তৃণমূলের ছোঁয়াচ।