সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্ষবরণের আগে ফের উত্তপ্ত কাশ্মীর (Kashmir)। এনকাউন্টারে ৬ জেহাদিকে খতম করল কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনার যৌথ বাহিনী। এদের মধ্যে চারজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ। এই চারজনের মধ্যে দু’জন আবার পাক নাগরিক। এনকাউন্টার চলাকালীন এক পুলিশ আধিকারিক এবং দুই সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন বলে খবর।
কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার রাত থেকে কাশ্মীরের বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police) এবং সেনার যৌথ বাহিনী। মূলত নওগাম এবং কুলগামের (Kulgam) বিভিন্ন এলাকায় এই তল্লাশি অভিযানগুলি চালানো হয়। তাতে সব মিলিয়ে ৬ জন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে খবর। এই ছয় জেহাদির মধ্যে দু’জন আবার পাক নাগরিক।
[আরও পড়ুন: ওমিক্রন আতঙ্কের জের, ২০২২ সালের প্রথম বিদেশ সফর স্থগিত করলেন প্রধানমন্ত্রী]
প্রথম এনকাউন্টারটি হয় নওগামের অনন্তনাগে (Anantnag)। সেখানেই ৩ জেহাদি নিকেশ হয়। আহন হন এক পুলিশকর্মীও। অনন্তনাগের ঘটনার পরই কুলগামের মিরহামা গ্রামে আরও একটি অপারেশন শুরু করে সেনা। তাতে নিকেশ হয় আরও ৩ জঙ্গি। কাশ্মীর জোন পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে,”দুটি আলাদা আলাদা এনকাউন্টারে চিহ্নিত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ৬ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। শনাক্ত হওয়া জঙ্গিদের মধ্যে ২ জন পাকিস্তানি বাকি দুজন স্থানীয়। আমাদের জন্য এটা বড় সাফল্য।”
[আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘মমতা কথা রাখেন’, গোয়ায় জনসংযোগে বেরিয়ে বোঝালেন অভিষেক]
বস্তুত, শীতকালে তুষারপাতের মরশুমে সীমান্তের অপার থেকে নতুন করে জঙ্গি অনুপ্রবেশ না হলেও কাশ্মীরে আগে থেকে ঢুকে থাকা পাক জঙ্গিরা এখনও স্থানীয় যুবকদের বিভ্রান্ত করে সন্ত্রাসের রাস্তায় নামানোর চেষ্টা করছে। সেই জঙ্গি চক্র নির্মূল করতে চলতি মাসের শুরু থেকেই সক্রিয় কাশ্মীর পুলিশ এবং সেনা। এই মাসে এই নিয়ে তৃতীয় বড় সাফল্য পেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের রাতেই ৫ জেহাদিকে খতম করে সেনা।