বাবুল হক, মালদহ: মালদহের ( Maldah) সুজাপুরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের বাড়ল মৃতের সংখ্যা। বিস্ফোরণে গুরুতর জখমকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তকরণের সময়ই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত বছর চুয়াল্লিশের আবু সায়েদ খান। এদিকে, সকালে ঘটনাস্থলে যায় রাজ্য পুলিশের STF এবং মালদহের ডিভিশনাল কমিশনার। বিস্ফোরণের তীব্রটা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেনসিক দল।
বেলা ১১টা নাগাদ মালদহের সুজাপুরে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে প্লাস্টিক কারখানায় আচমকাই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ (Blast) ঘটে। এই কারখানায় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক ব্যবহার করে কাজ করা হতো। প্লাস্টিকগুলি মেশিনে কেটে তবে কাজে লাগানো হত। ওই মেশিন থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে প্রাথমিক অনুমান বিশেষজ্ঞদের। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে কারখানার ছাদ উড়ে যায়, যে জায়গায় মেশিনটি ছিল, সেখানে বড়সড় গর্ত তৈরি হয়। বিস্ফোরণের জেরে ঘটনাস্থলেই ৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। রাতে কলকাতায় নিয়ে আসার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়। বাকি গুরুতর জখম আরও চারজনের মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে কবে মিলবে শীতের আমেজ? জেনে নিন কী বলছে হাওয়া অফিস]
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মালদহের ডিভিশনাল কমিশনার। তার আগে বৃহস্পতিবারই দুর্ঘটনাস্থলে যান মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও (Firhad Hakim) ঘটনাস্থলে যান। নিহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন তিনি। সন্ধেয় মৌসম বেনজির নূর এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরিকে সঙ্গে নিয়ে মালদহ মেডিক্যালে যান ফিরহাদ। জখমদের চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা কেন এতটা ভয়াবহ হল তা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার সন্ধেয় ঘটনাস্থলে যাচ্ছে ফরেনসিক দল।