সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানের বাড়িতে গুলিবর্ষণের (Salman Khan firing case) ঘটনায় আরও এক গ্রেপ্তারি। এবার হরিয়ানা থেকে ৩৭ বছরের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের নাম হরপাল সিং। পুলিশ সূত্রে খবর, সলমনের বাড়িতে হামলাকারীদের বিপুল টাকা দিয়েছিল এই হরপাল। পঞ্চম অভিযুক্ত রফিককে জেরা করেই এর কথা জানতে পারে মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
পয়লা বৈশাখের দিন আচমকাই সলমনের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই বাইক আরোহী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে সলমনের ‘গ্যালাক্সি’ অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে। বুলেট গিয়ে লাগে সুপারস্টারের বাড়ির দেওয়ালে। এর পর থেকে একের পর এক গ্রেপ্তারি হয়ে চলেছে। ঘটনার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই ভিকি গুপ্ত (২৪) ও সাগর পালকে (২১) গ্রেপ্তার করে ভুজ পুলিশ। ধৃতদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘বহুরূপী’র শুটিং শেষ, কীভাবে সেলিব্রেট করলেন ঋতাভরী-আবিররা? ]
সূত্রের খবর, এই দুজনকে জেরা করেই তাপি নদীতে বন্দুক ও গুলি ফেলার কথা জানতে পারে পুলিশ। নদী থেকে উদ্ধার করা হয় দুটি বন্দুক ও তিনটি ম্যাগাজিন। এপ্রিল মাসেই আবার পাঞ্জাব থেকে সোনু কুমার বিষ্ণোই ও অনুজ থাপনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। হাজতেই অনুজের মৃত্যু হয়। শোনা যায়, আত্মহত্যা করেছে সে। যদিও এই তথ্য অনুজের পরিবার মানতে নারাজ। অনুজের মৃত্যুর পরই রফিক গ্রেপ্তার হয়।
ধৃতরা গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর গ্যাংয়ের সদস্য বলেই শোনা গিয়েছে। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ উঠেছিল সলমনের বিরুদ্ধে। তারপর থেকেই সুপারস্টারকে নিজের শত্রু হিসেবে মানে বিষ্ণোই। এর আগে একাধিকবার সলমন খানকে হুমকি দিয়েছে সে। সূত্রের খবর মানলে, পয়লা বৈশাখের হামলার মাস্টারমাইন্ড লরেন্সের ভাই অনমোল বিষ্ণোই। ১৪ এপ্রিলের পরই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পোস্টে এই নামের প্রোফাইল থেকেই হামলার দায় স্বীকার করা হয়েছিল। শোনা যায়, হামলার আগে ১২ এপ্রিল সলমনের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে রেইকি করে ভিডিও তুলেছিল রফিক। সেই ভিডিও অনমোলকে পাঠানো হয়। ভিডিও দেখে দুই শুটারকে হামলার নির্দেশ দেয় অনমোল। কীভাবে কী করতে হবে, তাও নাকি জানায়। আর এর জন্য তাঁরা তিন লক্ষ টাকা পেয়েছিল।