সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রহস্য ঘনাল বারাণসীর (Varanasi) কলেজে। অতিমারী কালে (Pandemic) দীর্ঘ সময়ে বন্ধই ছিল সেই কলেজ। তবে করোনাকালে প্রশাসন একে ব্যবহার করেছিল আশ্রয়স্থল হিসেবে। এবার সেই কলেজেরই ক্লাসরুমে মিলল এক কঙ্কাল (Skeleton)। আচমকাই তা খুঁজে পাওয়ার পর থেকেই কঙ্কাল রহস্য ঘিরে তোলপাড়। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
বন্ধ কলেজে কোথা থেকে কঙ্কাল এল, এখনও এই রহস্যের কোনও কুলকিনারা করে উঠতে পারেনি পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের দলও। তারা নমুনা সংগ্রহও করেছে। এখন দেখার, সেখান থেকে কোনও সমাধানসূত্র মেলে কিনা। জানা গিয়েছে, করোনাকালে কলেজ বন্ধ থাকার সময় স্থানীয় প্রশাসন এটিকে আশ্রয়স্থল (Shelter Home) হিসেবে ব্যবহার করেছিল। সেই সময় দরিদ্র, গৃহহীন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছিল এখানে। কঙ্কালটি তাঁদেরই কারও মৃতদেহের কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি এর সঙ্গে অন্য কোনও চক্রান্তেরও যোগ রয়েছে কিনা দেখা হচ্ছে সেটাও।
[আরও পড়ুন: বেতন দিতে না পারায় ক্লাসে ঢুকতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ, আত্মঘাতী অবসাদগ্রস্ত ছাত্রী]
পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি এক পুরুষের। সেটির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে হচ্ছে ডিএনএ পরীক্ষাও। কলেজের মধ্যে এমন এক ঘটনা ঘিরে উদ্বিগ্ন কলেজের প্রিন্সিপাল ড. একে সিং। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ”কলেজ চত্বরে প্রচুর ঝোপঝাড় হয়ে গিয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, সেসব পরিষ্কার করা হবে। পাশাপাশি তৈরি করা হবে একটি খেলার মাঠও। আর সেই কারণেই শুরু হয়েছিল সাফাইয়ের কাজ। আর তখনই কঙ্কালটি চোখে পড়ে।”
[আরও পড়ুন: ‘দেপসাং থেকে কেন সরছে না চিনা ফৌজ, জবাব দিন প্রধানমন্ত্রী’, তোপ রাহুল গান্ধীর]
তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়েকটি বাচ্চা কলেজ খোলা পেয়ে তার ভিতরে ঢুকে পড়ে পিছন দিক দিয়ে। তারাই দেখতে পায় একটি রুমের মধ্যে পড়ে রয়েছে কঙ্কালটি। সঙ্গে সঙ্গে ওই বাচ্চারাই খবর দেয় বাকিদের। যে ঘরে কঙ্কালটি পাওয়া গিয়েছে, সেটা পুরনো ঘর। বহুদিন ধরেই সেখানে ক্লাস হয় না। অনুমান করা হচ্ছে, হয়তো করোনা শুরু হওয়ার সময় থেকেই ওটা এই ঘরেই পড়ে ছিল।