কলহার মুখোপাধ্যায়: বাড়ি থেকে নরকঙ্কাল উদ্ধারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল সল্টলেকের এজে ব্লকে। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় পুলিশ কঙ্কালটি উদ্ধার করেছে। অনুমান, কঙ্কালটি এক যুবকের। খুনের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত তার ছোট ছেলেও।
সল্টলেকের এজে ব্লকের ২২৬ নম্বর বাড়িতে থাকত মহেন্দসরিয়া পরিবার। সদস্য বলতে পাঁচজন, গৃহকর্তা অনীল, স্ত্রী গীতা, দুই ছেলে অর্জুন ও বিদুর, মেয়ে বৈদেহি। প্রায় দেড়বছরেরও বেশি সময় ধরে দম্পতির মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। যার জেরে ২০১৯-এর মাঝামাঝি সময় থেকে রাজারহাটে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন শুরু করেন অনীল। এভাবেই চলছিল। অনীলবাবু জানান, চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর স্ত্রী গীতা ফোনে তাঁকে জানান যে সে তিন সন্তানকে নিয়ে রাঁচিতে বাপেরবাড়ি যাচ্ছে। এরপর একাধিকবার বড়ছেলে বছর ২৫-এর অর্জুনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন অনীল। কিন্তু লাভ হয়নি। কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। এরপর রাঁচিতে খবর নিয়ে জানতে পারেন, অর্জুন সেখানে নেই। অজানা আশঙ্কা থেকেই চলতি মাসের শুরুতে পূর্ব বিধাননগর থানায় (Bidhannagar East Police Station) ছেলের নামে মিসিং ডায়েরি করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্মার্ট কার্ড ছাড়াই মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা, চাঁদনিতে বাধা পেয়ে কর্মীকে বেধড়ক মারধর]
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ। যোগাযোগ করা হয় গীতার সঙ্গে। তাকে ডেকে পাঠানো হয় কলকাতায়। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় গীতাকে নিয়েই সল্টলেকের তাদের বাড়িতে যায় পুলিশ। তল্লাশি চালাতেই ছাদ থেকে উদ্ধার হয় পূর্ণবয়স্ক একটি নরকঙ্কাল। জানা গিয়েছে, একতলায় রয়েছে পোড়া দাগ। সিঁড়িতেও বেশ কিছু দাগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে, কঙ্কালটি অর্জুনেরষ। খুনের পর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ছাদে। যদিও আদৌ দেহটি অর্জুনের কি না, খুনের নেপথ্যে গীতা কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। রহস্যভেদ করতে গীতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।