ব্রতদীপ ভট্টচার্য, বারাকপুর: সাতসকালে কঙ্কালকাণ্ড (Skeleton) উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায়। রবিবার ভাটপাড়া পুরসভার (Bhatpara Municipality) সাফাই কর্মীরা এলাকার জঞ্জাল পরিষ্কার করার সময় আবর্জনাস্তূপের কাছে তাঁদের চোখে পড়ে বেশ কিছু বড়সড় হাড়গোড়, মাথার খুলি। এলাকাটি ভাটপাড়া পুরসভার ২৫ নং ওয়ার্ডের মনসাতলা, জগদ্দল থানার অন্তর্গত। এসব দেখে রীতিমত ভয় পেয়ে যান সাফাইকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় জগদ্দল থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাড়গোড়, খুলি উদ্ধার করে। তারপর সেগুলি পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষায়। তার রিপোর্ট পেলেই বোঝা সম্ভব যে এসব কঙ্কাল কার। তবে এলাকায় এখনও তীব্র আতঙ্কের পরিবেশ।
মনসাতলা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন দু’বেলা তাঁদের এই এলাকা পুরসভার তরফে পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু তার ফাঁকে কে বা কারা এই কঙ্কাল আবর্জনাস্তূপে ফেলে রেখে গিয়েছে, তা তাঁরা বুঝতেই পারছেন না। এমন ঘটনার সাক্ষী আগে কখনও হননি বলেই জানাচ্ছেন ২৫ নং ওয়ার্ডের মনসাতলার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রাথমিক অনুমান, রাতের অন্ধকারে কেউ এসব এনে এই জায়গায় ফেলেছে এবং খুলি বা হাড়ের আকার দেখে মনে হচ্ছে, তা মানুষেরই। কার বা কাদের খুলি, হাড়গোড় এভাবে ফেলা হয়েছে, যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে তা তাঁরা জানতে আগ্রহী।
[আরও পড়ুন: খড়গপুরে রাস্তায় প্রতীক্ষারতদের পিষে দিল তেলের ট্যাঙ্কার, ঘটনাস্থলেই মৃত ৩]
অন্যদিকে, সকাল সকাল কঙ্কাল উদ্ধারের খবরে নড়েচড়ে বসেছে ভাটপাড়ার পুরপ্রশাসনও। পুরসভা থেকে এক প্রতিনিধিদলকে পাঠানো হয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তাঁদেরই একজন জানান, ”এই এলাকায় কখনও এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেনি। আমরা খবর পেয়ে প্রশাসনের নির্দেশে দেখতে এসেছি। প্রচুর হাড়গোড়, খুলি উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ এসে এগুলো নিয়ে গিয়েছে। যথাযথ তদন্ত করলেই বোঝা যাবে, এগুলো কাদের। কারাই বা এখানে এসব ফেলেছে।”
[আরও পড়ুন: NIA আদালতে হাজিরা এড়াতে ‘ভুয়ো’ করোনা রিপোর্ট ছত্রধরের, গুরুতর অভিযোগ মান্নানের]
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বস্তায় করে কেউ হাড়গুলো এনে ভাটপাড়া পুরএলাকার ২৫ নং ওয়ার্ডের জঞ্জালস্তূপে ফেলে রেখেছে। উত্তর ১৪ পরগনার ভাটপাড়া এলাকা রাজনৈতিক অশান্তির জন্য কুখ্যাত। খুনোখুনি লেগেই থাকে। এখন এসব কঙ্কাল উদ্ধারের সঙ্গে তার কোনও যোগ আছে কি না, সেই সংশয়ও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।