গৌতম ব্রহ্ম: নবীন-প্রবীণ বিতর্ক সম্প্রতি বিঁধেছে ঘাসফুল শিবিরকে। বয়স্কদের অভিজ্ঞতা আর তরুণদের পরিশ্রম দুয়ের মেলবন্ধন দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অর্থাৎ একটা বয়সের পর পরিশ্রমের উদ্যম ফুরিয়ে আসে, সেটাই মনে করেন অভিষেক। হাজার বিতর্কের মাঝেও তিনি এই মতামতে অনড়। এ বিষয়ে সরাসরি কখনও দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) প্রকাশ্যে কিছু বলতে শোনা যায়নি এতদিন। তবে সোমবার গঙ্গাসাগর (Gangasagar) মেলায় পৌঁছে তিনি বার্তা দিলেন কৌশলে। বললেন, ”আমরা ৬০ বছর বয়সেও কাউকে বিদায় দিই না। যোগ্যতা থাকলে আমরা তাঁদের আবার নতুন করে দায়িত্ব দিই। আপনারা জানেন, এমন অনেকেই আছেন আমাদের সরকারে।” অর্থাৎ তিনি বুঝিয়ে দিলেন, বয়স হওয়া মানেই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া নয়, বরং সেই অভিজ্ঞতাকে পাথেয় করে নতুন দায়িত্ব নেওয়াটাই আসল কথা। এবং তাঁর সরকার সেই নীতিতে বিশ্বাসী।
রবিবার পৈলানে (Pailan) জনসভা থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের উস্কে দিয়েছিলেন নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব। কোনও দ্বন্দ্ব নেই, বলেও ইঙ্গিতে প্রবীণ আর নবীনদের ভূমিকার তফাৎ বুঝিয়েছিলেন। দল আমায় যখন যে দায়িত্ব দিয়েছে, পালন করেছি। নবজোয়ার করতে বলেছিল, করেছি। আমি ৩৬ বছর বয়সে এসব করেছি। ৭০ বছর বয়স হলে কি পারতাম এত কাজ করতে?”
[আরও পডুন: স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কারা সুবিধা পাবেন?]
অভিষেক যেমন এ বিষয়ে নিজের মতামতে অনড়, সেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বয়স্কদের দায়িত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের নীতিতেই বিশ্বাসী। এদিন গঙ্গাসাগর থেকে তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যেই স্পষ্ট। উল্লেখ্য, রাজ্যের একাধিক আমলাকে অবসরের পরও নতুন করে দায়িত্ব দিয়েছে রাজ্য সরকার। সংগঠনের ক্ষেত্রেও তিনি একই নীতিতে বিশ্বাসী। আর এ বিষয়ে দলনেত্রী ও দলের ‘সেনাপতি’র ভিন্ন মত, তা স্পষ্ট হয়ে গেল।