সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্ল্যাক হোল। মহাকাশের অনন্ত বিস্ময়। যাকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহ আকাশছোঁয়া। এবার আমাদের ছায়াপথ আকাশগঙ্গাতেই খোঁজ মিলল 'ঘুমন্ত দৈত্যে'র। পৃথিবী থেকে ২ হাজার আলোকবর্ষেরও কম দূরত্বে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরটির ভর সূর্যের ৩৩ গুণ। এই প্রথম আকাশগঙ্গায় এত বড় ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। 'অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স' নামের এক জার্নালে এই সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, এই ধরনের ব্ল্যাক হোলগুলির দেখা এতদিন মিলত দূরবর্তী ছায়াপথগুলিতে। নয়া উদ্ভাবন সেই ধারণায় বড় পরিবর্তন আনল। পাশাপাশি কীভাবে বড় বড় নক্ষত্রগুলি জন্মায় ও বেড়ে ওঠে, তাদের পরিণতিই বা কী সে সম্পর্কে বুঝতেও সাহায্য করবে এই নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোল। প্রসঙ্গত, বহু সময়ই কৃষ্ণগহ্বরগুলো কাছাকাছি তেমন নক্ষত্র না থাকায় আলো শুষতে পারে না। আর সেই কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদেরই 'ঘুমন্ত' বলে চিহ্নিত করা হয়। নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটিও তেমনই এক 'ঘুমন্ত দৈত্য'।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় আদিবাসী মহিলাদের ‘হেনস্তা’ তৃণমূলের! একবছর পর গর্জে উঠলেন মোদি]
কীভাবে খোঁজ মিলল এই ব্ল্যাক হোলের (Black Hole)? বিজ্ঞানীরা অ্যাকুইলা নামের নক্ষত্রপুঞ্জে খুঁজে পেয়েছিলেন এক পুরনো দৈত্যাকার তারা। কিন্তু দেখা যায়, তার চলনে একটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে। যার কারণ খুঁজতে গিয়ে বোঝা যায়, সেটি এক অদৃশ্য ব্ল্যাক হোলের সঙ্গে একই কক্ষপথে আবদ্ধ। এই নিয়ে এমন ধরনের তিনটি কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল।
উল্লেখ্য, ব্ল্যাক হোলের গঠন ও চরিত্রকে আরও নিখুঁত ভাবে জানতে সারা পৃথিবীতেই কাজ করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। মিলছে নিত্যনতুন তথ্য। বছরখানেক আগে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন মহাকাশে বিপুল সুনামি তৈরি করে ফেলতে পারে ব্ল্যাক হোল। এবার খোঁজ মিলল এক 'ঘুমন্ত' ব্ল্যাক হোলের।