সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেঠিতে হারলেও নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির কাছে গুরুত্ব কমেনি স্মৃতি ইরানির। সূত্রের খবর, তৃতীয় মোদি সরকারে তাঁকে নাকি মন্ত্রিত্বও দেওয়া হবে। দিল্লির অন্দরে এখন তা নিয়েই তুঙ্গে আলোচনা। শুধু স্মৃতিই নন, আরেক পরাজিত মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখরকেও মন্ত্রিসভায় আনতে চাইছেন মোদি-শাহরা। মোদি ৩.০ মন্ত্রিসভা গঠনের আগে এখন এসব নিয়েই চলছে জল্পনা। তবে স্মৃতি বা রাজীবকে নিয়ে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের মুখে এখনও কুলুপ।
স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) গোড়া থেকেই দলের একনিষ্ঠ লড়াকু সৈনিক। ২০১৪ সালে আমেঠিতে হারের পরও পিছু হঠেননি। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে ২০১৯ সালে তা গান্ধীদের দখলমুক্ত করেছিলেন। মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় (Modi Cabinet 2.0) দফায় দফায় একাধিক দায়িত্ব সামলেছেন স্মৃতি। তিনিই ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ মন্ত্রী। তৎকালীন মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের (HR Ministry)দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর ডিগ্রি নিয়েই বিতর্ক উঠেছিল। পরে তাঁকে সেখান থেকে সরিয়ে বস্ত্রমন্ত্রক দেওয়া হয়। উনিশে জয়ের পর নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী ছিলেন স্মৃতি। সেইসঙ্গে সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকও ছিল তাঁর হাতে। প্রতি ক্ষেত্রেই স্মৃতি নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে চড় মারা জওয়ানকে চাকরির প্রস্তাব বিশাল দদলানির, টলিপাড়া কী ভাবছে?]
এহেন স্মৃতি ইরানিকে এখনই ছাড়তে চাইছেন না মোদি-শাহরা। তাই তাঁকে মন্ত্রিসভায় কোনও দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জল্পনা। সেক্ষেত্রে নিয়মমতো তাঁকে ৬ মাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্র থেকে জিতিয়ে আনতে হবে। নাহলে রাজ্যসভা (Rajya Sabha) সাংসদ করা যেতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দ্বিতীয়টির সম্ভাবনা কম। স্মৃতি ইরানির মতো লড়াকু ও কাজের মানুষকে এখনই রাজ্যসভায় পাঠানোর পথে হাঁটবে না বিজেপি (BJP) শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্যদিকে, তিরুঅনন্তপুরম থেকে কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে পরাজিত হয়েছেন বিদায়ী তথ্য-প্রযুক্ত মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। কিন্তু তাঁকেও মন্ত্রিসভায় আনার প্রভূত সম্ভাবনা বলে শোনা যাচ্ছে।