শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: মিড ডে মিলের জন্য রান্না করা খিচুড়ি সাপ! তাও আবার বিষাক্ত শাঁখামুটি! খাবার বিলির পর সাপের অস্তিত্ব ধরা পড়ায় শোরগোল ঘাটালের (Ghatal) এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে। না জেনে সেই খাবার খেয়ে অসুস্থ ২ শিশু ও এক মহিলা। তারা ভরতি দাসপুরের সোনাখালি গ্রামীণ হাসপাতালে। বিষয়টি নিয়ে সবিস্তারে তদন্তে নেমেছে জেলা প্রশাসন।
ঘাটাল ২ নং ব্লক ভুঁইঞারা আইসিডিএস (ICDS) কেন্দ্র। সেখানে প্রতিদিন বাচ্চা ও প্রসূতি মায়েদের জন্য খাবার রান্না হয়। শনিবারও মেন্যুতে ছিল খিচুড়ি। তা রান্না হওয়ার পর বিলিও হয়ে যায়। অনেকেই টিফিন বক্সে ভরে সেই খাবার বাড়িতে নিয়ে আসে। এক বাচ্চা সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ে আচমকা সাইকেল থেকে পড়ে যায়। টিফিন বক্স খুলে খাবার পড়ে যায়। আর সেখান থেকেই বেরিয়ে আসেন প্রায় দেড় ফুট লম্বা শাঁখামুটি সাপ (snake)! ততক্ষণে অনেকেই সেই খিচুড়ি খেয়ে ফেলেছেন। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। গ্রাম বাংলায় এই সাপকে বেশ বিষাক্ত বলেই মনে করা হয়।
[আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে তৃণমূলের শহিদ বেদী ভাঙচুর, কাঠগড়ায় বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা]
সঙ্গে সঙ্গে আইসিডিএস কেন্দ্রে খবর পাঠানো হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষিকা সকলের বাড়ি বাড়ি যান। নিজে খিচুড়ি খেয়ে পরীক্ষা করেন কতটা বিষাক্ত হয়েছে। আইসিডিএস কেন্দ্রের রাঁধুনি সুপ্রিয়া মাজি জানান, তিনি অন্যদিনের মতো রান্নাঘর, বাসনপত্র সব পরিষ্কার করে তবেই রান্না করেছিলেন। কীভাবে সাপটি খিচুড়িতে পড়ল, জানেন না। তাঁর অনুমান, সাপটি রান্নার সময়ে অজান্তে হাঁড়িতে পড়ে একসঙ্গে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: কিশোরীকে গণধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে কুয়োতে ফেলল দুষ্কৃতীরা, বর্বরতা যোগীরাজ্যে]
এই ঘটনার খবর পেয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ছুটে যান ঘাটাল ২ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ সাহু, আইসিডিএসের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক অভিমন্যু মণ্ডল, মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, মেদিনীপুর থেকে আসেন অতিরিক্ত জেলাশাসকও। তাঁরা সকলেই জানান, কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১০৮ নং আইসিডিএস কেন্দ্রটি কার্যত জঞ্জালের মধ্যে অবস্থিত। সেখানকার ঝোপঝাড় থেকেই সাপটি রান্নাঘরে ঢুকে খাবারের ভিতর পড়েছে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত