সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন ভোটের প্রভাব টলিপাড়ায় বেশ ভালভাবেই পড়েছে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও তারকার রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার খবর মিলছে। একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসে (TMC) যোগ দিয়েছেন দীপঙ্কর দে, সৌরভ দাস, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, পিয়া সেনগুপ্ত, ভরত কলের মতো তারকারা। অন্যদিকে রুদ্রনীল ঘোষের (Rudranil Ghosh) পাশাপাশি বুধবারই বিজেপিতে (BJP) যোগ দিয়েছেন যশ দাশগুপ্ত, পাপিয়া অধিকারী, সৌমিলি বিশ্বাস, শর্মিলা ভট্টাচার্য-সহ টলিউডের একঝাঁক তারকা। বৃহস্পতিবার হিরণ চট্টোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমন পরিস্থিতিতেই খবর ছড়িয়েছিল, ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দিতে চলেছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar)। সেই জল্পনা নস্যাৎ করলেন টলিপাড়ার নায়িকা। ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন। পাশাপাশি রাজনীতিতে যোগ দেওয়া তারকাদেরও একহাত নিলেন।
[আরও পড়ুন: আসল রূপ বেরিয়ে আসছে! ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে প্রসেনজিতকে বিঁধলেন শ্রীলেখা]
বুধবার রাতে ভিডিওটি আপলোড করেছেন সোহিনী। যাতে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, সরস্বতী পুজোয় (Saraswati Puja) তাঁর শরীর একটু খারাপ হয়েছিল। সেই কারণে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। উঠেই দেখেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিজেপিতে যোগদানের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা নিয়ে নানা মন্তব্য করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই ভিডিও বার্তায় সোহিনী জানান, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না। এমনকী রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। তিনি অভিনয় করতে পারেন। তাই সেইটুকু করেই মানুষের মনোরঞ্জন করতে চান। যদিও অভিনেত্রী জানেন না তিনি কতদিন এই পেশায় থাকতে পারেন। কেন? কারণ হিসেবে ব্যঙ্গের ছলে সোহিনী জানান, বর্তমানে রাজনৈতিক দলের সদস্যরা যেভাবে অভিনয় করছেন তাতে তিনি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। এরপরই ভোটের আগে রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া অভিনেতাদের বিঁধে অভিনেত্রী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না মানুষের পাশে থাকতে গেলে, মানুষের ভাল করতে গেলে, কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়াতে হবে। তার কোনও মাথার দিব্যি রয়েছে। হ্যাঁ, আমি যদি রাজনীতি করতে চাই তাহলে করতেই পারি। কিন্তু মানুষের ভাল চেয়ে রাজনীতি করাটা আমার মনে হয় সেটা কোনওভাবে মানুষকে দিকভ্রষ্ট করা হচ্ছে। কেউ যদি তা বলে তাহলে সে নিজেকে জাস্টিফাই করতে এই ধরনের বক্তব্য রাখছে। মানুষের ভাল করতে চাই বলে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হলাম হঠাৎ করে! হ্যাঁ! আমার মতামত আমি কারও উপর চাপিয়ে দিই না। আমার উপরও যেন কারও মতামত চেপে না বসে সেই দিকটা খেয়াল রাখি। ভোট দিই। যবে থেকে ভোটাধিকার পেয়েছি, যে দল রাজ্যের, দেশের ভাল করবে বলে মনে হয় তাকেই ভোট দিই।”