অর্ণব দাস, বারাকপুর: অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) গড়ে বিজেপিতে ভাঙন। শতাধিক কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ এক কাউন্সিলর ও প্রাক্তন বিজেপি নেতা মুকুল রায় (Mukul Roy) ঘনিষ্ঠ এক নেতা, বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পার্থসারথি পাত্র।
রবিবার নৈহাটি-রাজেন্দ্রপুর মোড় সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে একটা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকে সেখানে দলীয় পতাকা হাতে তুলে নেন বিজেপি নেতা পার্থসারথি পাত্র ও ভাটপাড়া পুরসভার কো-অর্ডিনেটর সোহম চৌধুরী-সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এদিনের যোগদানে জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী (Narayan Goswami), বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়, জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম-সহ অন্যান্যরা।
[আরও পড়ুন: বনগাঁর পুরপ্রশাসকের পাড়ায় বোমা বিস্ফোরণ, গুরুতর জখম এক, তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়]
এদিন বিজেপি (BJP) ছেড়ে তাঁর পুরোনো দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার পর পার্থসারথি পাত্র বলেন, “মুকুল রায়ের হাত ধরেই বিজেপিতে যোগদান করেছিলাম। মুকুলদা পুনরায় তাঁর পুরনো দল তৃণমূলে ফেরার কারণেই তৃণমূলে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেই।” এদিনের যোগদান কর্মসূচির পর বনমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “ত্রিপুরায় তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতাদের ভয় পাচ্ছে বিজেপি সরকার। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে ত্রিপুরায় বিজেপি-র শেষের দিন শুরু হয়ে গিয়েছে। একইভাবে বারাকপুর অঞ্চলেও বিজেপির শেষের দিন শুরু হয়ে গেল। আগামী দিনেও কর্মী-সমর্থকদের যোগদান চলবে। তবে অন্য দল থেকে কোনও নেতৃত্ব তৃণমূলে আসতে চাইলে দলীয় অনুমতি নিতে হবে।” উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। জেলায় জেলায় নেতা-কর্মীরা তো আছেনই, বহু তাবড় তাবড় নেতাও যোগ দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। আরও বহু নেতা দল ছাড়তে পারেন বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে।