রাজকুমার, আলিপুরদুয়ার: বঙ্গভঙ্গ ইস্যুতে আরও আক্রমণাত্মক আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। বুধবার বঙ্গভঙ্গের দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে চান সাংসদ জন বার্লা (John Barla)। মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ নিজের বাড়িতেই একথা জানিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। এদিন উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠনের দাবিতেও ফের সরব হন তিনি। ঘরছাড়া ইস্যুতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নালিশ করতে বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন জন বার্লা।
তিনি জানান, এদিন সন্ধেয় অসম-বাংলা সীমানার কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ জন পঞ্চায়েত সদস্য ও কুমারগ্রামের একজন জেলা পরিষদ সদস্য স্ত্রী, সন্তান সহ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) লক্ষ্মীপাড়া চাবাগানে সাংসদ জন বার্লার বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাঁদের অভিযোগ, কুমারগ্রাম থানার আইসি ও স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা জোর করে তৃণমূলে যোগদান করার জন্য চাপ দিচ্ছে। হুমকি দিচ্ছে। আর সেই হুমকি থেকে বাঁচতে তাঁরা সাংসদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
এই পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ সদস্যরা সাংসদের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার পরেই বঙ্গ ভঙ্গের দাবিতে আরও আক্রমনাত্মক হয়ে ওঠেন সাংসদ। এদিন সাংসদ জন বার্লা বলেন, “দেখুন কি ধরনের নির্যাতন চলছে। আমি আগেই বলেছি উত্তরবঙ্গের (North Bengal) উন্নয়নে কোনও নজর নেই। শুধু বেছে বেছে আমাদের দলের নেতা, কর্মী, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি বুধবার এদের নিয়েই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) দ্বারস্থ হচ্ছি। রাজ্যপালের অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। অনুমতি পেলে এই সব পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের নিয়েই রাজ্যপালের কাছে যাব।” জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি।
যদিও কুমারগ্রাম থানার আইসি বাসুদেব সরকার এই সব অভিযোগ অস্বিকার করেছেন। তিনি বলেন, “পুলিশ কেন এই ধরনের কাজ করবে। গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর পঞ্চায়েত সদস্যদের মধ্যেই বিরোধ তৈরি হয়েছে। ওদের সম্ভবত জোর করে সাংসদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” উল্লেখ্য কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৭ আসনের মধ্যে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১১ আসনে জয়ী হয় বিজেপি (BJP)। সম্প্রতি দুই পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জেলাতে একমাত্র কুমারগ্রাম ব্লকেই একটি জেলা পরিষদের আসন জয়লাভ করে বিজেপি। কুমারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তিমির দাস বলেন, “আমরা আতংকে সাংসদের বাড়িতে সপরিবারে আশ্রয় নিয়েছি। আমাদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।” এদিকে বঙ্গভঙ্গের দাবি তোলায় যুব ও ছাত্র তৃণমূলের পক্ষ থেকে আলিপুরদুয়ার শহরে কুশপুতুল পুড়ল সাংসদ জন বার্লার।
দেখুন ভিডিও: