দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বর্ধমান, আসানসোলের পর এবার হরিনাভি (Harinavi)। ফের প্রকাশ্যে বিজেপির অন্তর্কলহ। বাবুল সুপ্রিয়, অরবিন্দ মেননের পর এবার দিলীপ ঘোষের সামনেই কর্মী-সমর্থকরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। আগামিকালের মধ্যে রিপোর্ট তলব বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
মঙ্গলবার সন্ধেয় দক্ষিণ ২৪ পরগনার হরিনাভিতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের কথা ছিল। তাতেই যোগ দিতে এসেছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেই সময় দলেরই দুই গোষ্ঠীর কয়েকজন কর্মী-সমর্থক নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। কেন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তাঁরা? সূত্রের খবর, বিজেপি রাজ্য সভাপতির সঙ্গে কারা আগে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকবে, তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। আদি এবং নব্য কর্মী-সমর্থকদের অশান্তিতে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। খবর পেয়ে জেলা নেতৃত্বও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। স্বাভাবিকভাবেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “কোনরকম বিশৃঙ্খলা দল বরদাস্ত করবে না। আগামিকালের মধ্যে দলের নেতাদের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে সমালোচনায় সরব শাসকদল তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: বর্ধমানে খুন তৃণমূলের বুথ সভাপতি! জখম আরও এক নেতা, অভিযোগের তির বিজেপির দিকে]
এই প্রথমবার নয়। এর আগে গত সপ্তাহেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বর্ধমান। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উদ্বোধন করা দলীয় কার্যালয়ে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। আদি-নব্যের অশান্তিতে গাড়িতেও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা যদিও জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি-সহ ১৪ জনকে শো কজ করেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি। ঠিক সেইদিন বাবুল সুপ্রিয় এবং অরবিন্দ মেননের সামনেই আসানসোলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি আদি এবং নব্য কর্মী-সমর্থকরা। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। যদিও এই ঘটনায় এখনও কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।