নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ঠিক যেন অ্যাকশন ছবির দৃশ্যায়ন। স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় লুঠের চেষ্টা করেছিল ডাকাতদল। শেষ পর্যন্ত যদিও পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। ডাকাতদলকে বাধা দেওয়ায় চলল গুলি। জখম এক টোটোচালক। সোমবার সাতসকালে ভরা বাজারে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী বীরভূমের সিউড়িবাসী। এই ঘটনায় যদিও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সাতসকালে গুলি চলার ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা।
সিউড়ির (Suri) মসজিদ মোড় বাজার সংলগ্ন এলাকার একটি স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থার নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, সোমবার সকালে পাঁচজন ডাকাত ব্যাংকের সামনে আসে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সাটার খুলতে জোর করা হয় নিরাপত্তাপরক্ষীদের। ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ৮টা ৪৮ মিনিট হবে। বাধ্য হয়ে সাটার খুলতে শুরু করেন তাঁরা। তাতেই বেজে ওঠে অ্যালার্ম। স্থানীয়রা ধরে ফেলার ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই ডাকাতদল। তাদের একটি বাইক স্থানীয়রা আটকে রাখে। অন্য একটি বাইকে চড়ে ডাকাতদলে থাকা ৩ জন পালানোর চেষ্টা করে। বাকি দু’জন অন্য একটি বাইক ছিনতাই করে। তাতে চড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সিউড়ির মসজিদ মোড় বাজার দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি তাদের আটকানোর চেষ্টা করে। ডাকাতদল গুলি চালাতে শুরু করে। ওই ব্যক্তি কোনওক্রমে রক্ষা পান। তবে গুলি ছিটকে গিয়ে এক টোটো চালকের গায়ে লাগে। মোবারক খান নামে ওই টোটোচালকের পায়ে গুলি লাগে। সিউড়ি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: কোহিনূর চা বাগানের মালিকানা হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা, বিক্ষোভ-থানা ভাঙচুরে রণক্ষেত্র আলিপুরদুয়ার]
এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠি বলেন, “স্বর্ণ ঋণদানকারী সংস্থায় লুটের চেষ্টা হয়েছিল। অ্যালার্ম বেজে যাওয়ায় পারেনি। গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। এলাকার নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।